যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যামাণ প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : প্রধান আকর্ষণ ‘মেয়র’ পদে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা না থাকলেও ভোটের প্রতি আস্থা বেড়েছে সিলেটবাসীর। সিলেট নির্বাচনের প্রচারণা গতকালই শেষ হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উৎসবের মধ্যে দিয়ে সব প্রার্থীই প্রচারণা শেষ করেছেন। মূলত ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। যারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন তারা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। যদিও বিএনপিসহ একটা বিশেষ শ্রেণি একদম চুপ হয়ে আছেন। বিএনপি নেতারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না বললেও তারা ভোটারদের নিরুৎসাহিতও করছেন না। যে কারণে বিভিন্ন জরিপে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি হতে পারে।
ইউরোপভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইলেকশন মেন্যুভারিং আর্কিটেকচারের জরিপে দেখানো হয়েছে, সিলেট শহরে আওয়ামী লীগের কোর ভোট আছে প্রায় ৪৫ হাজার, বিএনপির কোর ভোট আছে ৪০ হাজার। সংখ্যালঘু ভোট আছে ৫৩ হাজার। জাতীয় পার্টি বা লাঙ্গলের কোর ভোট আছে ১৭ হাজার। জামায়াতে ইসলামীর কোর ভোট ২৩ হাজার, কিছু ভোট তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। পীরপন্থি বিভিন্ন ভাগের মিলিয়ে আছে ২০ হাজার, জাকের পার্টি ৩ হাজার, ইসলামী আন্দোলন ১৫ হাজার, ইয়াং ভোট ৩৫ হাজার, বস্তি বা ফ্লোটিং ভোট ৯০ হাজার, প্রবাসী পরিবারের ভোট ১৮ হাজার, কওমিপন্থি ২৫ হাজার, সুইং ভোট বা এন্টি এস্টাবলিশমেনট ভোট ৮৭ হাজার। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৮৭ ভোটারের এই নির্বাচনে ধারণা করা হচ্ছে- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ থেকে ১লাখ ৪০ হাজার ভোট পারেন। আর বিএনপির কোর ভোট কারো পক্ষে যাবে না বলেই সূত্র বলছে। আর তা হলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাবুল ৩০ থেকে ৫০ হাজার ভোট পেতে পারেন।
বাবুলের ভোট বাদ দিলে ইয়াং পপুলার ভোট, প্রবাসী ভোট, পীর ভক্তদের ভোট, সংখ্যালঘু কোর ভোট আওয়ামী লীগের কোর ভোটের সঙ্গে যোগ হলে এমন ফলাফলেই আশা করা যায়। অন্য একটা সুত্র বলছে, বিএনপির যারাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন তারা নিজস্ব কাউন্সিলর প্রার্থীদের ছাড়াও ব্যক্তি মূল্যায়ন করেই মেয়র পদে ভোট দেবেন। সেই হিসাবেও এই অংশের ভোট আনোয়ার চৌধুরীর পক্ষেই যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
দল নিরপেক্ষ ভোট : দল নিরপেক্ষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশীরভাগ অংশের মতামত হলো- তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে আগ্রহী নন। আরেকটি পক্ষের মতামত হলো মেয়রের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা নির্ভেজাল ভালো ব্যবহারের লোক হিসাবে আনোয়ারকেই বেছে নেবেন। যদিও কাউন্সিলর পদে প্রত্যেকেরই পছন্দের প্রার্থী রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উপর আস্তা : আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের একজন শক্তিশালী কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের পর নির্বাচন কমিশনের উপর শহরবাসী বা ভোটারদের আস্তা বেড়েছে। তাই ভোটের দিন ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে বলে আশা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়