সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হচ্ছে এশিয়া কাপ

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রস্তাবিত ‘হাইব্রিড মডেলের’ এশিয়া কাপে সম্মতি জানিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এশিয়ার ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি জানিয়েছে, ওয়ানডে সংস্করণের এবারের এশিয়া কাপ শুরু হবে আগামী ৩১ আগস্ট। আর ফাইনাল হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর।
এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কাতে। এবারের আসরের ১৩টি ম্যাচের ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়, বাকি ৪টি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সবগুলো ম্যাচই লাহোরের মাঠে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবারের টুর্নামেন্টটি হবে একটু ভিন্ন ধাঁচে। মূল পর্বের খেলাগুলো দুইটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে খেলবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও নেপাল। তিনটি করে দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম পর্ব খেলবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি দল সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ পাবে। সুপার ফোরের চারটি দল পরস্পরের সঙ্গে খেলবে। এরপর সুপার ফোরের শীর্ষ দুটি দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
পাকিস্তানে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারত কোনোভাবেই পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে রাজি হয় নি। তাই পাকিস্তান একপর্যায়ে প্রস্তাব দেয় হাইব্রিড মডেলের, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, বাকি ম্যাচগুলো পাকিস্তানে। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে পাকিস্তান প্রস্তাব করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম। কিন্তু সেটা আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট মেনে নেয়নি বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। পরবর্তীতে এসিসি পাকিস্তানের দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে বেছে নিয়ে পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেলে সম্মতি জানান।
সময় ও ভেন্যু নিশ্চিত করা হলেও এখনো সূচি চূড়ান্ত করেনি। তবে গনমাধ্যমের সুত্র অনুসারে, ভারত নেই এমন চারটি ম্যাচ পাকিস্তান-নেপাল, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ও শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০০৮ সালের পর থেকেই রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তান সফর করছে না ভারত। এর আগে পাকিস্তান সফরে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন শ্রীলংকা জাতীয় দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পাকিস্তানে এমনকি খেলছে না দ্বিপাক্ষিক সিরিজও। সবশেষ ভারতের মাটিতে ২০১২ সালে খেলেছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এরপর থেকে দল দুটি কেবল এসিসি ও আইসিসির ইভেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে।
এদিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান আবার একই সুবিধা চেয়ে বসে। এর ফলে ২০২৩ এশিয়া কাপ নিয়ে এক প্রকার অচলবস্থা তৈরি হয়। অবশেষে হাইব্রিড মডেল এসিসি অনুমতি দেয়ায় অচলবস্থার অবসান হয়। কিন্তু ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ায় এখন পাকিস্তানও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যেতে বেকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। পিসিবি জানিয়েছে শুধুমাত্র সরকারের অনুমতি পেলেই ভারতে খেলতে যাবে বাবর-রিজওয়ানরা। এরই মধ্যে ভারতের আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলার অস্বীকৃতি জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলতে সমস্যা নেই তাদের। তবে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো কোন ভেন্যুতে করা সম্ভব তা নিয়ে বেশিই মাথা ঘামাতে হবে আইসিসিকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়