ঢাবি প্রতিনিধি : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাকে লালন করেছেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হবে না। তিনিই বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি ও ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধুর পৃষ্ঠপোষকতা ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছেন। এছাড়াও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’র মর্যাদা দিয়ে ভারত থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দিন যতই গড়াচ্ছে, ভাষা আন্দোলনে ও বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষায় জাতির পিতার অবদানের কথা নিত্যনতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসতে পারে বঙ্গবন্ধু তা আগেভাগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির আগে ১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তৎকালীন ভারতের ইত্তেহাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বিশেষজ্ঞ বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাবি বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
বক্তব্য প্রদান শেষে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের অংশ হিসেবে জাদুঘর আয়োজিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিল্প-বাংলা’ এর শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।