বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেছেন, মৎস্য চাষে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নিলে উৎপাদন যেমন বেড়ে যাবে, তেমনি খরচও অনেকটা কমে আসবে। অক্সিজেন বৃদ্ধিকারী যন্ত্র এয়ারেটর ব্যবহারে পুরো ফার্ম বা পুকুরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। পুকুরের নিচ থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিকর গ্যাসও দূর করে দেয় এই যন্ত্র। ‘ফিশ কাউন্টিং ডিভাইস’ ব্যবহারের মাধ্যমে খুবই কম সময়ে সঠিকভাবে মাছ ও মাছের পোনা গননা করা যায়। মৎস্য চাষ, ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে এসব যন্ত্রের ব্যবহার অনেক লাভজনক।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ে ‘মৎস্য চাষ যান্ত্রিকীকরণ : বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মূল উপস্থাপক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় আধুনিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে মৎস্য চাষ, ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণসহ অন্যান্য কাজ কম পরিশ্রম ও খরচে কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৎস্য বিভাগে যন্ত্র ও মেশিনের ব্যবহার প্রচলন ও বৃদ্ধি করাই ছিল কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তর ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম।
এছাড়া বিভিন্ন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এম খালেকুজ্জামান, প্রণব কুমার, মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালায় উপস্থিত মৎস চাষি ও খামারিরা আধুনিক এসব যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় ওইসব যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করে বাজারজাত করার আবেদন জানান তারা। পাশাপাশি যন্ত্র ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করার কথাও বলেন তারা।