শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

বাংলাদেশকে কেউ পেছনে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী > মাথা উঁচু করে দাঁড়াব, নত করব না

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাঙালিকে বীরের জাতি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ জাতি কারো কাছে মাথানত করে না। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পথ দেখিয়েছি। আমরাও পথ দেখাতে পারি। আমাদের মেধাবী শিশুরা এই পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ। এই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে। আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এ জাতি কারো কাছে মাথানত করবে না বলে আবারো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩-এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২২ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’ কবি সুকান্তের ভাষায় বলে গেলাম। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট্ট সোনামনিদের কাছে আমার পরামর্শ, সব সময় মাথায় রাখতে হবে আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি, কারো কাছে মাথানত করে আমরা চলি না। মাথা উঁচু করে আমরা চলি, মাথা উঁচু করে চলব। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মেধাবী ছেলেমেয়েরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চান- তারা পারবে কিনা। সবাই সমস্বরে পারবে বলে জবাব দেয়। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে ভুলবে না। মানুষের জন্যই সব। জাতির পিতা বলেছিলেন, শিক্ষিত ভাইয়েরা, আপনাদের লেখাপড়ার যে খরচ জনগণ দিয়েছে তা শুধু আপনাদের সংসার দেখবার জন্য নয়। দিয়েছে এই জন্য যে, তাদের জন্য আপনারা কাজ করবেন, তাদের সেবা করবেন। জনগণের সেবা করতে হবে। জনসেবার চেয়ে আর কোনো কিছু বড় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল, এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আজকে প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ, গবেষণার যুগ। আমি ২১ বছর পর যখন ক্ষমতা পেলাম, তখন আমি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিলাম। একটা প্রজেক্ট নিয়েছিলাম নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীরাই শুধু শিক্ষা পাবে তা না- বয়স্করাও যাতে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, একেকটা জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা দিয়ে অনেকটা সফল হয়েছিলাম। পাঁচ বছর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এ প্রকল্প বাদ দিয়ে দেয়।
সরকারপ্রধান বলেন, আমার পথ চলা এত সহজ ছিল না। অনেক চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা, অনেক

কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। যার ফলে আজকে বলতে পারি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আজ আশাবাদী এ দেশকে আর কেউ পেছনে টেনে নিয়ে যেতে পারবে না। আবার অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে পারবে না। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই এ দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি কর্মকার। এছাড়া হাজারীবাগ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেশমি কানিজ, রাজশাহীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসদিক আহমেদ তন্ময়, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কুইন, ন্যাশনাল কার্ডিওভাসকুলার ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের ডা. রাকিবুল আমিন বিজয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবা আহমেদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ এ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থী পুরস্কার পায়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেয়েছেন ২২ জন শিক্ষার্থী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়