শাহজালালে ১২ কোটি টাকার কোকেনসহ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

খুলনায় খালেকের হ্যাটট্রিক, বরিশালে খোকন : খুলনায় শান্তিপূর্ণ ভোট, উপস্থিতি কম > তালুকদার আবদুল খালেক ১,৫৪,৮২৫ ভোট, আবদুল আউয়াল ৬০,০৫৪ ভোট

পরের সংবাদ

জাহাজ বিস্ফোরণ : দগ্ধ আরো তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিন কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫৪), সোহেল (৩৮) ও হুমায়ুন কবির (৫৪)। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৪ জনের মৃত্যু হলো। গতকাল রবিবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল এবং সকাল ৯টার দিকে সোহেল ও শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান হুমায়ুন কবির।
রুবেলের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান। সোহেলের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মিরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম তাইজুল ইসলাম ও হুমায়ুনের বাড়ি সাভারের পলাশবাড়ী। তার বাবার নাম মৃত আলী আকবর তালুকদার।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, রুবেল ও সোহেলের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং হুমায়ুনের শরীরের দগ্ধ হয়েছিল ৩০ শতাংশ। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান তাজুল ইসলাম লিমন (২০) নামে এক কর্মী।
গত ৩ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ারে ওটি সাংহাই-এইট নামে জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন জাহাজটির কর্মী তাজুল ইসলাম লিমন (২০), আব্দুল মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।
জাহাজের কর্মী আব্দুল মান্নান রাহাদ সে সময় জানান, তারা জাহাজে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ারে গিয়ে ভেড়ান। গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা যখন জাহাজটির ডেকের উপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিন কক্ষে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাদের শরীরে মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট ৮ জন রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে তিনজনকে ওইদিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৫ জনকে ভর্তি রাখা হয়। এই ঘটনায় ইমতিয়াজ এখন ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়