তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

মেসির আগমনের আগেই টিকেট নিয়ে হাহাকার

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর্জেন্টাইন তারকা মেসির মেজর লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরে নতুন মৌসুম শুরুর আগেই দলটির ম্যাচের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। মেসির আগমনের পর টিকেটের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও তাতে ভ্রক্ষেপ নেই সমর্থকদের। ২৯ ডলার মূল্যের টিকেটের দাম একদিনেই বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৪৪ ডলারে।
তবে ২১ জুলাইয়ের আগে ইন্টার মিয়ামির জার্সি গায়ে মাঠে নামা হচ্ছে না লিওনেল মেসির। ক্লাবের হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের জন্যও অপেক্ষায় থাকতে হবে মিয়ামি সমর্থকদের। পিএসজিতে মেসির অধ্যায় শেষ হলেও এখনো শেষ হয়নি চুক্তির মেয়াদ। জুনের ৩০ তারিখে শেষ হবে এই চুক্তির মেয়াদ। এরপরই নতুন চুক্তিতে সই করতে পারবেন মেসি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনায় ফিরতে চাইলেও বার্সার অর্থনৈতিক দৈনতার কারণে তা আর হয়নি। তাকে দলে ভেড়াতে অন্য খেলোয়ারদের বিক্রি কিংবা বেতন কমানোর সিদ্বান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। কিন্তু বার্সায় না গেলেও আল হিলালের বছরে ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর লোভনীয় প্রস্তাবও ছিল তার কাছে। আপাতদৃষ্টিতে ইন্টার মিয়ামির চেয়ে আর হিলালের চুক্তিটি বেশি লাভজনক মনে হলেও, ইন্টার মিয়ামিতে মেসি আরো বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। যেমন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্পোর্টসওয়ার ব্র্যান্ড অ্যাডিডাসের লভ্যাংশের একটা অংশ মেসি পাবেন। এছাড়া এমএলএস দেখতে যত মানুষ অ্যাপল টিভি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং তা থেকে যে মুনাফা হবে, সেটারও একটা অংশ পাবেন মেসি। মেসি অবসরের যাওয়ার পর ইন্টার মিয়ামির শেয়ারের একাংশের মালিক হতে পারবেন এবং এমএলএসের একটা ক্লাবও কিনতে পারবেন। তাই সবদিক থেকে হিসেব করলে সৌদির ক্লাবে যাওয়ার চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে বেশি আয়ের সুযোগ থাকছে মেসির।

এদিকে লিওনেল মেসির মতো বিশ্বমানের তারকা ফুটবলারের জন্য মিয়ামি প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ক্লাবটির গোলরক্ষক নিক মার্শম্যান। কারণ হিসেবে ইন্টার মিয়ামির বর্তমান ঘরের মাঠ ‘ফোর্ট লডারহিলে ডিআরভি পিএনকে’ স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমন ভালো না হওয়ার দিকটি তুলে ধরেন তিনি। ম্যার্শম্যান বলেন, ‘আমাদের স্টেডিয়ামটি অস্থায়ী, মানুষ ইচ্ছে করলেই মাঠে ঢুকতে পারে। ভালো কোনো গেট নেই। আমরাও কোনোরকম নিরাপত্তা ছাড়া স্টেডিয়াম থেকে বের হই। আমিও চাই সে আসুক, কিন্তু মনে হয় না ক্লাব এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত।’ মিয়ামিতে ফ্রিডম পার্কে প্রায় একশ কোটি ডলার খরচ করে নতুন স্টেডিয়াম বানাচ্ছে ডেভিড বেকহামের ইন্টার মিয়ামি। এ কারণেই মূলত অস্থায়ী স্টেডিয়াম হিসেবে আপাতত ফোর্ট লডারহিলে ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে মিয়ামি। স্টেডিয়ামটির আসনসংখ্যা মাত্র ১৮ হাজার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব একটা সনেÍাষজনক নয়। মিয়ামির নিজেদের নতুন স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা হবে প্রায় ২৫ হাজার, স্টেডিয়ামটি ২০২৫ সালে খুলে দেয়ার কথা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়