তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো তিন ব্যাংকারের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

বিপাকে রোহিঙ্গারা, বিপাকে বাংলাদেশ : ভূ-রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে কমল খাদ্য সহায়তা > এক বেলা খাবারের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ কমে ৯ টাকা

পরের সংবাদ

অসহনীয় গরমে হাতপাখার কদর বেড়েছে বাঘায়

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) থেকে : প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে একটু স্বস্তি পেতে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল এলাকার মানুষের কাছেও কদর বেড়েছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার। চাহিদা বাড়ায় পাখা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের নারী-পুরুষ। রাজশাহীর বাঘাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপ প্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর বেড়েছে লোডশেডিং।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তালপাতার তৈরি হাত পাখা বিক্রি করতে দেখা যায়, নুর ইসলাম, মাহাবুলসহ ৫-৬ জন পাখা ব্যবসায়ীকে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অনেক মানুষ তাদের কাছ থেকে পাখা কিনছিলেন।
বাঘা পৌর বাজারের পাখা বিক্রেতা নূর ইসলাম বলেন, গরম যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাল পাতার পাখার কদরও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোডশেডিং এর আগে যেখানে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ পিস পাখা বিক্রি হতো, সেখানে গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে এখন প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ পিস পাখা বিক্রি করছি। প্রতিটি পাখা ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে নকশার তৈরি রঙিন পাখার দাম ১০০ টাকার বেশি বলেও জানান তিনি।
বাঘা পৌরসভার মিলিকবাঘা গ্রামের আবুল হোসেন খা নামে এক পাখার কারিগর বলেন, গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আশ্বিন, কার্তিক ও চৈত্রসহ কয়েকটি মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং ভ্যাপসা গরম পড়ে। তাই তালপাতা দিয়ে তৈরি হাতপাখার চাহিদাও বেড়ে যায় বহুগুণ। এ সময়ে তাদের ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। পরিবারের নারীরাও তার কাজে সহায়তা করেন বলেও জানান তিনি। সরজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করতে দেখা গেছে, হজরত আলী খাসহ তার পরিবারের সদস্যদের।
তালপাখা কিনতে আসা বাঘা পৌরসভার হাসপাতাল পাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক জানান, বর্তমানে প্রচণ্ড গরম সেই সঙ্গে বৈদুতিক লোডশেডিং, তাই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে তিনি তালপাতার তৈরি হাতপাখা কিনেছেন।
অপর ক্রেতা বাজুবাঘা গ্রামের বাসিন্দা হালেমা খাতুন বলেন, সমাজের ধনী লোকেরা বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালুর মাধ্যমে গরম থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু আমাদের তো আর সেই সামর্থ্য নেই। তাই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর এই তালপাখাই আমাদের একমাত্র ভরসা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লোডশেডিং শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রেতারা আইপিএস, চার্জার ফ্যান, চার্জার লাইট কিনতে বাজারে ভিড় করছেন বেশি।
বিদ্যুৎ না থাকলেও দেড়-দুই ঘণ্টা সার্ভিস দেবে এমন একটা ফ্যান কেনেন প্রভাষক আব্দুল হানিফ। সঙ্গে তিনটা তালপাতার তৈরি হাতপাখাও কেনেন। তিনি জানান, রাত-দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ হীনতায় গরমে ভুগতে হয়। তাই চার্জার ফ্যানের ভালো সার্ভিস না পেলে তালপাখাই ব্যবহার করবেন।
ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রেতা নাজমুল হোসেন জানান, এর আগে আমার দোকানে চার্জার ফ্যান, চার্জার লাইট, আইপিএসের কাস্টমার (ক্রেতা) ছিল হাতে গোনা। লোডশেডিং আর তীব্র তাপ প্রবাহে কাস্টমার অনেক বেড়ে গেছে। দামও বেড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়