গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ বার ভবনে আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতি

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নামাজের সময় উচ্চৈঃস্বরে বক্তৃতা রাখায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় সাউন্ড সিস্টেমের তার, ব্যানার ও ফেস্টুন। দীর্ঘ এক ঘণ্টার বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের এক পর্যায়ে পণ্ড হয়ে যায় জেলা আইনজীবী ফোরামের অনুষ্ঠান। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের নিচতলায়।
নামাজের সময় বারভবনে বিএনপির আলোচনা অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী এডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন এসে বলেন, মাইক বন্ধ কর নামাজ চলতাছে। পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মাইক বন্ধ করে দিয়ে মাইক ছাড়া বক্তব্য দিতে থাকেন।
এরপর আবারো এসে এডভোকেট সুইটি বলেন, মাইক বন্ধ কর। তোরা বার ভবনে বসে আওয়ামী লীগকে গালাগালি করছিস। তোদের এতো বড় সাহস। তখন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এসে কে মাইক বন্ধ করেছে জানতে চাইলে সুইটি বলেন আমি করেছি। তখন সুইটি বলেন নামাজ চলে দেখেন না।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন নামাজ তো শেষ, তারপরও কেনো তুমি মাইক বন্ধ করলা। কাজটি ভালো করলা না। তখন সুইটি উত্তেজিত হয়ে বলে কাজটা কি খারাপ করলাম, আপনি কি মারবেন আমারে। এই বলে সুইটি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন।
সুইটির চিৎকার-চেঁচামেচির এক পর্যায়ে বারের সভাপতি এডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সেক্রেটারি এডভোকেট মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা দৌড়ে এসে সাখাওয়াত হোসেন খানসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় বারভবনে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় ও সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় বাগবিতন্ডা ও হট্টোগোল চলতে থাকে।
বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে এডভোকেট মোহসীন মিয়া সাউন্ড সিস্টেমের তার ছিড়ে ফেলেন। এরপর আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা বিএনপির টানানো ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। এদিকে ব্যানার ছিড়ে ফেলায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আরো ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মাহমুদুর হাসান মুমিনের সঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন ও সায়েম রানার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা এসে বাধা দেয়। জুয়েল ও মহসিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা এসে আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেন এবং হাতও তোলেন। শুধু তাই নয়,তারা আমাদের সাউন্ড সিস্টেমের তার ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কিন্তু চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা সবাই কিন্তু আইনজীবী। এই বারে সবার সমান অধিকার রয়েছে। আর গণতান্ত্রিক দেশে সবার সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আজকে তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যা করল তার জন্য একদিন তাদেরকে এর মাশুল দিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়