গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

তাপদাহে ‘অগ্নিকুণ্ড’ টিনশেডের স্কুল : মেহেরপুরের শোলমারী বালিকা বিদ্যালয়ের গাছতলায় পাঠদান

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : মেহেরপুরে গত কদিন ধরেই বেড়েছে তাপমাত্রা। পুরো অঞ্চলজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা ঠেকেছে ৪১ ডিগ্রিতে। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিপাকে সব প্রাণিকুল। এমন তাপদাহে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে জেলা সদরের সীমান্তবর্তী এলাকার শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস বিদ্যালয়ের শিক্ষকশিক্ষার্থীর। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত লোডশেডিং-এ বিপর্যয় আরো বেড়েছে। টিনশেডের এই বিদ্যালয়টি বেলা ১১টার পরেই হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। যেখানে পাঠদান প্রায় অসম্ভব। আগামী ৭ জুন থেকে শুরু হবে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা। তাই উপায় না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকা আমগাছের ছায়াতলে চলছে পাঠদান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা, আম গাছের ছায়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির আইসিটি বিষয়ে পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল জাব্বার। তিনি বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহে টিনশেডের কক্ষে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। আগামীকাল থেকে পরীক্ষা এসময় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি সেশন গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপায় না পেয়ে গাছতলাতেই নিতে হচ্ছে ক্লাস। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী শোলমারি গ্রামের মাহাবুব রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের উদ্যোগে ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি এমপিভুক্ত হওয়ার পর জেলা পরিষদ পৃথকভাবে দুই কক্ষের দুটি পাকা ভবন নির্মাণ করে দেই। যার একটি রুমে আর্থিক সংকটে জানালা দরজা লাগানো যায়নি। সেখানে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। অপর রুমটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকি ক্লাসগুলো চলে টিনশেডের একটি লম্বা কক্ষে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেশমি খাতুন বলে, তাপদাহের কারণে মাথার ওপরে টিনশেডের গরমে ঘামে শরীর ভিজে যায়। কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা করে গত বরিবার থেকে বিদ্যালয়ের আমগাছের নিচে ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রকৃতির ছায়াতলে ক্লাস করতে ভালো লাগছে। তবে সূর্য ঘুরলে ছায়ার সঙ্গে তাদের ক্লাসও ঘোরে বলেও জানান। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিয়া খাতুন বলেন, আগামী ৭ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এই গরমে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হবে না টিনশেড ঘরে। এত গরমে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হারও নেমেছে অর্ধেকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান জানান, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গরমে টিনশেডের ঘরে কোনোভাবেই ক্লাস নেয়া যাচ্ছে না। অসহনীয় তাপদাহে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকতে পারছে না। সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তীব্রতায় বিদ্যালয়ের গাছের ছায়াতে পালা করে ক্লাস নিতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়