‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

বার্সার ঘরে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় শিরোপা

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ভলফ্সবুর্গকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। লিগে এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। অপরদিকে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইসরায়েলের কাছে ৩-২ গোলে হেরে এবারের আসর থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। এছাড়া জার্মান কাপের ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে লাইপজিগ।
নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোফেনে ফাইনালে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের ৩ মিনিটেই ইওয়া পাইওরর গোলে এগিয়ে যায় ভলফ্সবুর্গ। এরপর ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেক্সান্দ্রা পোপে। তবে বিরতির পর শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চের সব আলো কেড়ে নেন পাত্রিসিয়া গিহারো। ম্যাচের ৪৮ ও ৫০ মিনিটে জোড়া গোল করেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে ফ্রিদোলিনা রোলফোর গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বার্সা। মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সার দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতায় ট্রেবল পূর্ণ হয় তাদের।
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠলেও ব্যালন ডি’অর জয়ী পুতেয়াসকে নিয়ে ফাইনালে ঝুঁকি নিতে চাননি বার্সা কোচ জোনাতান হিরালদেজ। শুরুর একাদশে তো নয়ই, দুই গোল খাওয়ার পরেও পুতেয়াসকে না নামানোয় হারের শঙ্কাটা আরও পেয়ে বসেছিল। তবে পুতেয়াসকে ছাড়া এমন স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে যাবে, তা হয় না। ৯০ মিনিটে বোনমাতির বদলি হিসেবে নামেন পুতেয়াস। কিছুক্ষণ পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরবে মাতে বার্সা। ট্রফিটা পুতেয়াসের হাতে উঠতেই গৌরবজ্জ্বল দিনটা রূপ নেয় উৎসবে। এর আগে ২০২১ সালে বার্সার মেয়েরা প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গত বছরও ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায় এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল ফ্রান্সের অলিম্পিক লিওঁর কাছে। এই জয়ে আরেকটি রেকর্ড করে বার্সার মেয়েরা। প্রথম দল হিসেবে ছেলেদের পাশাপাশি দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়ে তারা।
অপরদিকে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ইসরায়েল। এই আসরে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ছিল তারা। তবে ফেভারিটদের নাকানিচুবানি খাইয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইসরায়েল। ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েও অতিরিক্ত সময়ে গোল খায় ব্রাজিল। ব্রাজিলের চেয়ে আক্রমণে অধিক গোছানো ইসরায়েল তৃতীয় গোল দিয়েছে নির্ধারিত সময়ের পর চলা অতিরিক্ত সময়ে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধে ব্রাজিল-ইসরায়েল কোনো দলই গোল পায়নি। ডেডলক ভাঙতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন আসরের অন্যতম সেরা গোলস্কোরার মার্কোস লিওনার্দো। কিন্তু এর ৪ মিনিট পরে ম্যাচের ৬০ মিনিটে ইসরায়েলকে সমতায় ফেরান আনান খালাইলি।
নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত মিনিটের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করে ব্রাজিলকে ফের এগিয়ে দেন ম্যাথিউস নাসিমেন্তো। তবে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্নে আবারো বাগড়া দেয় ইসরায়েল। ৯৩তম মিনিটেই হামজা শিবলি গোলে সমতায় ফেরে তারা। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
অতিরিক্ত মিনিটে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্রাজিলের রক্ষণ ভাগকে নাচিয়ে ইসরায়েলকে এগিয়ে দেন ডাভিড তুর্গেমান। এই তরুণ ফুটবলারের দলটির হয়েও অভিষেক হয় এদিন।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ইসরায়েল। ব্রাজিলের ডিবক্সে এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে সে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক কাইকে পেরেইরা আজারিয়াস। তবে ফিরতি পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেবার অবশ্য বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে ইসরায়েল। শেষদিকে ব্রাজিলও একটি পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছিল। তবে হাতে লাগা সেই দৃশ্য ভিএআরে চেক করার আবেদন জানালেও, তাতে সাড়া দেননি রেফারি। ফলে হারের হতাশা নিয়ে তরুণ ব্রাজিলিয়ানরা মাঠ ছাড়ে।
অপরদিকে জার্মান কাপের ফারইনালে আরবি লাইপজিগের সামনে ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। তবে দাপুটে খেলে শিরোপা ধরে রাখে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। এনকুনকুর গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দমিনিক সোবোসলাই। ম্যাচে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তারা। ৫৮ ভাগ বল দখলে রেখে মোট ১২টি শট নেয় তারা, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে, দুটি হয়েছে গোল। অন্যদিকে ৬ শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ফ্রাঙ্কফুর্ট, জালের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধে অবশ্য দুই দল সমতায় ছিল। অবশেষে ডেডলক ভাঙে ৭১তম মিনিটে। ফরাসি মিডফিল্ডার এনকুনকুর শটে বল প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডমিনিক সোবোসলাই। সেই গোলেও ছিল এনকুনকুর অবদান। তার নিচু পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান সোবোসলাই। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে লাইপজিগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়