করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত তামাক কর তরুণ সমাজকে তামাকজাত দ্রব্য থেকে বিরত রাখতে সহায়ক হবে না বলে মনে করছেন তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানো হলেও, মূল্য বাড়ানোর হার হতাশজনক। এই বাজেট তামাকমুক্ত তরুণ সমাজ গঠন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়। গতকাল শনিবার প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের উপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তরুণরা এসব কথা বলেন। সকালে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অর্কিড রুমে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এগুলো হলো- সকল সিগারেট ব্র্যান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ মূল্যস্তর ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা। ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা। জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বাড়ানোসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া দ্রুত পাস করতে হবে।
সংগঠনটির সমন্বয়ক মারজানা মুনতাহা জানান, কর হার নি¤œস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৮ শতাংশ করা হয়েছে, যদিও ৬৫ শতাংশ কর হারের যে সুপারিশ বিশেষজ্ঞরা দিয়েছিলেন তা আমলে আনা হয়নি। অন্যান্য স্তরে কর হার ৬৫শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শলাকা প্রতি ৫০ পয়সা বাড়লেও ভাংতি জটিলতায় বাজারে বিক্রি হবে মূলত ১ টাকা বাড়িয়ে। এতে করে বাড়তি মুনাফার সুযোগ পেয়ে লাভবান হবে কোম্পানি, আর বাড়তি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
সংগঠনের আরেক সদস্য তাসনিম হাসান আবির জানান, তরুণরা মারাত্মকভাবে ই-সিগারেটে আসক্ত এবং এর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। প্রস্তাবিত বাজেটে ই-সিগারেটে আমদানি কর বাড়িয়ে ২১২ শতাংশ করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, এই পদক্ষেপের ফলে স্বাস্থ্য ক্ষতির বিবেচনায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের যে সুপারিশ বিশেষজ্ঞ মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে করা হচ্ছিল তা বাস্তবায়িত হলো না পক্ষান্তরে এটা বৈধতার দিকেই এগুলো- যা হতাশাজনক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়