‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত দেশ গড়ার অন্তরায়’

আগের সংবাদ

রাজনীতির ছায়ায় ব্যবসার জাল : জামায়াতের বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক দেশ জুড়ে বিস্তৃত, গোপনে চলছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, এবার প্রকাশ্যে মাঠে নামার হুংকার

পরের সংবাদ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল : ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া কে জিতবে শিরোপা

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইংল্যান্ডে আয়োজনে ২০২১ সাল থেকে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর। আগামী ৭ জুন লন্ডনের ওভালে এবারের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মাঠে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে রানার্সআপ হয় ভারত। এবার রোহিত শর্মারা টানা দ্বিতীয় ফাইনালে শিরোপার জন্য লড়বেন। অন্যদিকে লাল বলের শিরোপার লড়াইয়ে প্রথমবার ফাইনাল খেলবে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সাদা পোশাকের ম্যাচে মোট ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে ২০২১-এর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুটি, যেগুলো ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। আর বাকি চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের মাটিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। অজিদের মাঠে খেলা ম্যাচ দুটির মধ্যে ২০২১ সালের প্রথম ম্যাচটি শেষ হয় সমতায়। আর পরের ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। প্রতিপক্ষের মাঠে রোহিত শর্মার দল যতটুকু শক্তিশালী, নিজেদের মাঠে তারচেয়ে আরো বেশি শক্তিশালী। ২০২৩ সালে অজিদের বিপক্ষে ভারতীয়দের লাল বলের শুরুটা হয় এক ইনিংস এবং ১৩২ রানের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে। সেই ম্যাচে ভারতের দেয়া রান তাড়ায় অনেকটা পিছিয়ে থেকে ফলো অনে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ভারতীয় বোলাদের তোপের মুখে টিকতে পারেননি। চলতি বছরে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারত জয় পায় ৬ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটের জয় পায়। এই বছরে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ শেষ হয় সমতায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নের চলতি আসরে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ৬ ম্যাচের ৩টিতেই জয় পেয়েছে ভারতীয়রা। দুটি ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায় এবং বাকি একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চলতি আসরের পরিসংখ্যান হিসেবে তাই শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে আছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত। ৭ জুন থেকে শুরু হওয়া ফাইনাল ম্যাচটি যদি সমতায় শেষ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নিয়ম অনুসারে যুগ্মভাবে দুই দলই হবে শিরোপাজয়ী।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেভারিট দল হিসেবে ফাইনাল খেলেছিল ভারত। তবে সেই আসরে তারা অভিষেক শিরোপা হারায়। এবার নিজেদের টানা দ্বিতীয় ফাইনালে শিরোপা জয়ের ভালো সুযোগ আছে ভারতের সামনে। এবারের ফাইনালেও তারা মাঠে নামবে ফেভারিট দল হিসেবেই। তাদের শিরোপার পথে বাঁধা হতে পারে ইংল্যান্ডের কন্ডিশন। নিরপেক্ষ এই ভেন্যুর কন্ডিশনে তুলনামূলক ভালো অভ্যস্ত অস্ট্রেলিয়া। তারা অ্যাশেজ ও মুখোমুখি সিরিজে ইংল্যান্ডের সঙ্গে অনেকবারই ওভালে খেলেছে। এছাড়া ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যুর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনেরও মিল রয়েছে অনেকটাই।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই তারকা ক্রিকেটারে ভরপুর। ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুভমান গিল ও অজিঙ্কা রাহানেরা আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, তাদের সঙ্গে বোলিংয়ে সামর্থ্যরে পূর্ণ প্রমাণ দিতে নামবেন মোহাম্মদ শামি ও সিরাজরা। অন্যদিকে অজি ব্যাটিংয়ে স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন, উসমান খাজারা শক্ত ভিত গড়তে সক্ষম। তাদের সঙ্গে সমান তালে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডরা গতির ঝড় তুলতে পারেন।
লাল বলের শিরোপা জিততে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে দুই দল। অনুশীলন শেষে গত শনিবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অসন্তুষ প্রকাশ করেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। এবার তার সামনে অপেক্ষা করছে লাল বলের শিরোপা। এই শিরোপার পথে তিনি বাঁধা মনে করছেন এক ম্যাচের ফাইনালকে। তার মতে তিন ম্যাচের সিরিজের মাধ্যমে শিরোপাজয়ী নির্ধারিত হলে ভালো হত।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি ওয়ার্নার বলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারাটা দারুণ। আমি সমালোচনা করতে চাই না। তবে আমি মনে করি, এটি তিন ম্যাচের সিরিজ হওয়া উচিত। দুই বছর ভালো ক্রিকেট খেলার পর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে একটি দলের বিপক্ষে খেলতে হয়।’ রোমাঞ্চকর অনুভূতির কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘দুইটি সেরা দলের জন্য এটি দারুণ পুরস্কার।
বিদেশের মাটিতে দুটি বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণ ডিউক বল হাতে নিয়ে বোলিং করবে। এটি দুর্দান্ত এবং আমরা এজন্য রোমাঞ্চিত। ২০১৩ সালের কথা মনে আছে আমার। নেটে ব্যাটিংয়ের সময় মিচেল স্টার্ক ও অন্য বোলারদের বিপক্ষে বারবার বোল্ড হওয়া নিয়ে মিডিয়ায় আমাকে তুলোধুনো করা হতো। এটি আমার কাছে অদ্ভুত লাগত। কারণ আমি তখন নেটে সম্ভবত সবচেয়ে বাজে ছিলাম।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নামার আগেও লাল বলের সংস্করণে তেমন ছন্দে নেই ওয়ার্নার। ২০২১ সালের শুরু থেকে সর্বশেষ ৩২ ইনিংসে মাত্র একবার তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তিনি। এই সময়ে ২৯.৪৮ গড়ে তার সংগ্রহ সব মিলিয়ে ৯১৪ রান। তবে নেট সেশনের ব্যাটিং অনুশীলনে তিনি নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভালো কিছু করতে পারলে তিনি চলতি বছর শেষেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়