করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

স্মরণসভায় বক্তারা : পঙ্কজ ভট্টাচার্যের আদর্শ ছিল উদার ও অসাম্প্রদায়িক

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ধর্মীয় জাতিসত্তা যেখানে নির্যাতিত হয়েছে, সেখানেই ছুটে যেতেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। তিনি কখনো ক্ষমতার রাজনীতি করেননি। তার আদর্শ ছিল উদার ও অসাম্প্রদায়িক। গত শতাব্দির ষাটের দশকের অন্যতম বাম ছাত্রনেতা, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর প্রধান উপদেষ্টা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে মৌলবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর নেতারা।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখবো, মৌলবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করবো’ স্লোগানে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় তাকে এভাবেই স্মরণ করা হয়। সভায় ফেনী, মাদারীপুর ও গাইবান্ধাসহ অনেক জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা যোগদান করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিষ্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলী, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ।
মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় একসঙ্গে ছিলাম। নেপথ্যে থেকে সব চালাতেন। পঙ্কজ ভট্টাচার্য কোনোদিন মাথানত করেননি। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যে কাজ শুরু করেছিলেন তা শেষ করে যেতে পারেননি। আমাদের সেই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাকিস্তান পর্বে তিনি যেমন মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তেমনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই লড়াই চালিয়ে গেছেন।
শ্যামল দত্ত বলেন, পঙ্কজ দার বই পরতে পরতে বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেছেন, সংকটের কথা
বলেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তার স্বপ্নের দিগন্তের যে প্রসারতা সেই কথা বলেছেন। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে তাকে নিয়ে কি ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছিল তা পঙ্কজ দা জানিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা যে পোশাক আশাকে এসেছেন, আর যারা বাংলাদেশকে শাসন করছেন তাদের সঙ্গে যোজন যোজন দূরত্ব। এই বাংলাদেশকে শাসন করার কথা তো মুক্তিযোদ্ধাদের।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, তার মতো স্মরণীয় বরণীয় রাজনীতিবিদ জীবনে পাব কিনা জানি না। ২ হাজার ৩৬১ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পর সেই গেজেটটা একবার বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে তিনি কোর্টে নিয়ে গিয়ে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছিলেন। তবে এখনো অনেক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাননি। তাদের স্বীকৃতির জন্যও পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মতো চেষ্টা করতে হবে
ড. ফৌজিয়া মোসলেম বলেন, ‘পঙ্কজদা যে সময়টার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করেছেন ত্যাগের মধ্য দিয়ে। বৈষম্যে দূরীকরণ ও সবার সমান অধিকার আদায়ে আমরা স্ব^াধীনতা যুদ্ধে গেলাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আমরা কি দেখছি। নানা ষড়যন্ত্রের কারণে গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার সুযোগই পেল না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়