করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে পারাপার : যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের বরকতপুর ও ধর্মহাটা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সাজিপাড়া বটতলায় প্রায় ২১ বছর আগে নির্মিত একটি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে সরদহ ও নিমপাড়া ইউনিয়নের যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের বরকতপুর ও ধর্মহাটা গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সাজিপাড়া বটতলায় নির্মিত হয়েছিল ৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটি। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থী, পথচারী ও এলাকাবাসী। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, সেতুটি ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ধর্মহাটা, পাটিয়াকান্দি, খৌর্দ্দগবিন্দপুর, মুংলী, ফরিদপুর, বনকিশোর, বরকতপুর, নন্দনগাছি, শাহবাজপুর কামনি গ্রামের কয়েক হাজার লোকের যাতায়াত সুবিধার জন্য নির্মিত হয়েছিল। সেতুটি ব্যবহার করে এলাকার লোকজন সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশায় চলাচল করতেন। পার্শ^বর্তী ইউনিয়ন নিমপাড়ার নন্দনগাছি বাজারে এ এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করার জন্য সেতুটি ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। কিন্তু সংস্কারের অভাবে ব্রিজটি চলাচলে ঝুঁিকপূর্ণ হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার ঘুরে কৃষকদের কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য যেতে হয়। এতে যেমন সময় নষ্ট হয়, তেমনি যাতায়াত ব্যয় বেড়ে গেছে বলে জানান পাটিয়াকান্দি গ্রামের লোকজন।
পাটিয়াকান্দি গ্রামের আখতারউদ্দীন (৬০) বলেন, প্রায় ৭-৮ বছর আগে সেতুটির সাইড রেলিং ভেঙে এবং মূল অংশে পিচসহ ঢালাই উঠে গেছে। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে গেছে এবং যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বললেও আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যেগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বরকতপুরের শাসমুজ্জামান। সরদহ ইউপির চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু বলেন, আমি এরই মধ্যে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য উপস্থাপন করেছি, যাতে করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এই সেতুটি দিয়ে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুল হক রতন জানান, সাপোর্ট রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় সেতুটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়