করমণ্ডল এক্সপ্রেস : চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক, বাংলাদেশি যাত্রী থাকার আশঙ্কা

আগের সংবাদ

দেয়াল

পরের সংবাদ

চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা : চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি কালু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক এক আসামিকে ঘটনার সাত বছরের মাথায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে নগরের আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার কালুর বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানামূলে শুক্রবার রাতে আসামি কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করবে। পিবিআইয়ের এসপি নাইমা বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি কালু বিভিন্ন ছদ্মবেশ নিয়ে গত সাত বছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন। সর্বশেষ তিনি আকবর শাহ
এলাকায় একটি ভবনে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি জানান, পাঁচলাইশ থানা ও রাঙ্গুনিয়া থানার মামলায় খাইরুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সেই দুটি পরোয়ানামূলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পিবিআই মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামিসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে আরো যাদের আসামি করা হয় তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। অভিযোগপত্রের সাত আসামির মধ্যে চারজন কারাবন্দি। ভোলা জামিনে এবং মুছা রয়েছেন নিখোঁজ। গত ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়