ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

যোগাযোগ ও পরিবহনে বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ ৬ হাজার ১১০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে ৮৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৮১ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বরাদ্দ বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্ল্যাহ বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়নের প্রথম চাবিকাঠি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এই বরাদ্দকে কাজে লাগাতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কোনো দেশের উন্নয়নের প্রধান মাপকাঠি। যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো উচিত। বাজেটে বরাদ্দ বেশি থাকলে সড়কে বেশি কাজ হবে, শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। পরিবহন সেক্টরের ব্যবসায়ী এবং যাত্রীরা সুবিধা পাবে।
তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগ ভালো হলে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। মহাসড়কগুলোকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মতো বিশ্বমানের করতে হবে। পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মান উন্নয়নেও সরকারকে কাজ করতে হবে। সরকারের সদিচ্ছার কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। পদ্মা সেতু ও বিভিন্ন সড়ক নির্মাণের ফলে সারাদেশে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সড়ক, সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ করার ফলে সারাদেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সুগঠিত

মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় সারাদেশে ২ হাজার ৩৪২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ চারলেনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। সরকারের মেয়াদকালে বাস্তবায়িত দেশের ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় মোট ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সড়ক টানেল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত র?্যাম্পসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
রেল খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে রেল খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি। ২০০৯ সালের পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩৯ দশমিক ৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৮০ দশমিক ২৮ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ১৪৪টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে। পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন খাতে নিরাপদে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যে গত ১৪ বছরে আমরা প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধার করেছি। ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌপথ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে ৬টি মেট্রোরেল লাইনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়