ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ৪০ মামলার আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র?্যাব)। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ৪০ মামলার এ আসামীকে গত বুধবার কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা এবং গুলিবর্ষণ ঘটনার হোতা মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-১৩ এর দুটি দল সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তাদের দলের সদস্য সংখ্যা ৭০-৮০ জন। মোশারফের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও তার আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাত।
র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতার এক পর্যায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশাকে গ্রেপ্তার করলে তার দলের অন্য সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর চড়াও হয়ে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৫-৬ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে মোশাকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।
কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সে মোশা বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। বিভিন্ন মেয়াদে সে একাধিকবার কারাভোগও করেছে। গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। মোশারফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে তার সব কাজে সহায়তা করত সে। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়