ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

কুষ্টিয়ায় ১৭ কিমি রাস্তা বেহাল অর্ধলাখ মানুষের দুর্ভোগ : দিনরাত বালুবাহী ট্রলি চলাচল

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের একমাত্র সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিনরাত বালুবাহী ট্রলির দাপটে সংযোগ সেতু থেকে পুরাতন কুষ্টিয়া, বোয়ালদাহ, শালদাহসহ পুরো হরিপুরের রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। এতে শেখ রাসেল হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু থেকে শুরু করে পুরাতন কুষ্টিয়াসহ আশপাশের প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। হরিপুরের প্রধান সড়ক দিয়ে শালদাহ, পুরাতন কুষ্টিয়া, বোয়ালদাহ, কান্তিনগরসহ আশপাশের কয়েকটা গ্রামের সাড়ে ৪২ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় দিনরাত বালু ও ইটবাহী ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে এমন বেহাল দশায় জনমনে চাপা ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। অথচ একটা ছোট ইউনিয়নের জন্য সরকার শত কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন করলেও শুধু রাস্তার কোনো সমাধান না হওয়ায় মানুষ নতুন করে দুর্ভোগে পতিত হয়েছে।
সরজমিন দেখা যায় যে, সরু রাস্তা, ভাঙা গর্ত, উচুঁ নিচু রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাদামাটিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। কোথাও কোথাও রাস্তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পুকুরসংলগ্ন রাস্তাগুলোতে কোনো প্রটেকশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তায় বাস বা ট্রাক ঢুকলে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় যানবাহনের মুখোমুখি দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় দিনমজুর থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষের। হরিপুরবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রাম ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, ২০১৭ সালে শত কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০৪ দশমিক ৫৫ মিটার দীর্ঘ শেখ রাসেল হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু উদ্বোধনের পর হরিপুরের শত শত যুবক আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে খামার গড়ে তোলে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় লোকসানে মুখ থুবড়ে পড়েছে খামারগুলো। রাস্তায় ইট-বালুবাহী ট্রলির দাপটে রাস্তাঘাট পুরো ভেঙে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শত শত শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তাটা যেন বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া রাস্তার অতিরিক্ত ধুলোবালিতে স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এমন হাজারো ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ‘গরিবের কক্সবাজার’ খ্যাত শালদাহ গ্রামে অবস্থিত পদ্মা গড়াই মোহনা বিশেষ দিন ঘিরে কুষ্টিয়া শহরসহ আশপাশের এলাকার শত শত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হলেও রাস্তার বেহাল দশায় এখন অনেক কমে গেছে। স্থানীয় কিছু মুনাফাখোর ব্যক্তি নদীর বালু বিক্রির কারণে রাস্তার বেহাল দশা তৈরি হয়েছে।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. মোস্তাক হোসেন মাসুদ বলেন, আমি নির্বাচনের ইস্তেহারে হরিপুরের রাস্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দিয়েছি। এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়