কাগজ প্রতিবেদক : সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না- এমন নীতি ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠকটি চলে। রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় বেলা পৌনে ২টায়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা মো. এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা (বস্তুত নতুন ভিসা নীতি)। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বৈঠকে মার্কিন সরকারের ঘোষণা করা ভিসানীতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। তিন দলের পক্ষ থেকে মতামত দেয়া হয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় সে কারণেই তারা ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, এটা বোঝা গেছে। এ ব্যাপারে আমাদের দলও একমত। আমরা বলেছি, মার্কিন সরকার যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠক শেষে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে পিটার হাসের বার্তা প্রচার করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।