ঢাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধন

আগের সংবাদ

প্রশ্নবিদ্ধ ওলামা লীগের ‘স্বীকৃতি’ : বিভিন্ন সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ধিক্কৃত হয় সংগঠনটি

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপ দল নিয়ে তাড়াহুড়ো চায় না বিসিবি

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাস চারেকের মধ্যেই ভারতের মাটিতে শুরু হতে চলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট এখন ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এর মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থেকে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগ শেষ করেছে টাইগাররা। মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে আরো আগেই। তবে টাইগারদের সফলতার হারের চেয়ে বেশি আলোচনায় আছে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে কে কে থাকবেন তা নিয়ে। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ স্কোয়াডে থাকবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্নের ঝুড়ি সমর্থকদের মনে। তাদের সব প্রশ্ন গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সামনে তুলে ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সেখানে নান্নু জানান, বিশ্বকাপ দল নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নয়।
সামনের সিরিজগুলো দেখেই বিশ্বকাপ দল দেয়া হবে বলে জানান নান্নু। এছাড়া বিশ্বকাপের জন্য ২৪ জন ক্রিকেটার নিয়ে একটি পুল রয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। আমাদের পরপর সিরিজ রয়েছে। আমরা এই সিরিজগুলো নিয়েই এগোচ্ছি। সেরা একটি দল তৈরির জন্য আমাদের কিন্তু ২৪ জনের একটা পুল আছে। যেখানে সোহানসহ আরো অনেক ক্রিকেটার আছে। যাকে যখন দরকার পড়ে তখন তাকে নেয়া হয়েছে। আমাদের পুলের ক্রিকেটারদের কাউকে কিন্তু চোখের আড়াল করা হয়নি। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। এটা ন্যাশনাল পুল।’
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হয়ে আসার আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি ক্রিকেটারদের খোঁজখবর নিয়েছেন জানিয়ে নান্নু বলেন, ‘হাথুরুসিংহে যখন আবার কোচ হয়ে আসে তখন এখানে আগে যে খেলোয়াড় ছিল সবার খোঁজখবর নিয়েছে, কে কেমন করছে। আমাদেরও একটা দায়িত্ব আছে কে কীভাবে খেলছে। গত তিন বছরে কেমন পারফরম্যান্স করেছে। দেশে এবং দেশের বাইরে কী করেছে। এগুলোই সে জানতে চেয়েছিল।’
বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা না থাকলেও আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করছে বিসিবি। নিজেদের সেরা দল নিয়ে মাঠে নামা হবে জানিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাচক গণমাধ্যমকে জানান, ‘এখানে কোনো পরীক্ষা হবে না। আফগানিস্তান খুব ভালো দল। কারণ আমাদের একটা খারাপ অভিজ্ঞতা আছে, তাদের বিপক্ষে গত টেস্ট ম্যাচটা আমরা হেরেছি। কোনো হালকাভাবে নেয়া হবে না। সম্ভাব্য সেরা দলই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দেয়া হবে।’
জুনের ১০ তারিখ আফগানিস্তান দল ঢাকায় পৌঁছাবে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় একমাত্র টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে ১৪ জুন। এই টেস্ট খেলে ভারত চলে যাবে আফগানিস্তান। এরপর ১ জুলাই পুনরায় বাংলাদেশ সফরে আসবে তারা। জুলাইতে ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে দুই দল।
এর আগে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের সিরিজে দুটি টেস্ট ম্যাচও ছিল। তবে ব্যস্ত সূচির কারণে একটি টেস্ট বাতিল করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাছাড়া এক সফরেই সবগুলো ম্যাচ খেলার কথা ছিল আফগানদের। এখন তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দুই ভাগে সিরিজটি খেলতে চাচ্ছে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশে এসে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তারা ভারতে গিয়ে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এরপর সূচি অনুযায়ী তারা আগামী জুলাই মাসে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো খেলবে।
আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সেরা দল চাওয়া হলেও অধনায়ক সাকিব আল হাসানকে দলে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরতি ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তর্জনীর চোটে পড়েন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তাই তিনি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। সেই চোটের কারণে সাকিবকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত ৬ সপ্তাহ। তাই আফগানদের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে থাকবেন না তিনি। টেস্টে না থাকলেও সাকিবকে আগামী জুলাই মাসের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সাকিববে দলে না পেলেও তার প্রত্যাশা ঘরের মাঠে ভালো করতে পারবে বাংলাদেশ। এই প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত টেস্ট ম্যাচটা আমরা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরের মাঠে ভালো খেলেছি। একই মাঠে ভারতের বিপক্ষেও আমরা ভালো খেলেছি। সেই সিরিজে আমরা জয়ের খুব কাছে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয়, মিরপুরে আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ভালো চ্যালেঞ্জ দিতে পারব। দেশের মাটিতে যেহেতু খেলা, আশা করি ভালো খেলব।’
গত এপ্রিলে আইরিশদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সেই সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে দাপটের সঙ্গেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল টাইগাররা। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে আশাবাদী হওয়াটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছন্দে আছে বাংলাদেশ দল। চলতি বছরের প্রথম ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে অবশ্য ইংলিশরা পাত্তাই পায়নি তামিম বাহিনীর বিপক্ষে। এরপর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের ধবলধোলাই করে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল মুখোমুখি হয় আইরিশদের। পল স্টার্লিং-অ্যান্ড্রু বালবির্নিদের বিপক্ষে তামিমের নেতৃত্বে ইতিহাসের সেরা পারফর্ম করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজটি বাংলাদেশ জয় করে ২-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে সেই সিরিজ জয় করা সহজ ছিল। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচের ফিরতি ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সর্বশেষ এই সিরিজেও ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে দেশে ফেরে টাইগাররা। তিন ম্যাচের একটি বৃষ্টিতে পণ্ড না হলে হয়তো বিদেশের মাটিতে আইরিশদের ধবলধোলাইও করতে পারত হাথুরুর শিষ্যরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়