স্ত্রীকে নির্যাতন : পেসার আল-আমিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

আগের সংবাদ

বাজেটে তিন বিষয়ে গুরুত্ব : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃচ্ছ্রসাধন ও মেগা প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়ে এবারের বাজেট পরিকল্পনা

পরের সংবাদ

ঢাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীতে শুরু হয়েছে ‘১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা-২০২৩’। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাহাত আনোয়ার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব কমিউনিকেশন ও এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জিয়াউল করিম, এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের সিইও তাহের মুহাম্মদ জাবের প্রমুখ।
মেলার মূল আয়োজক ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর। টাইটেল স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা করছে বেসরকারি খাতের নবীনতম এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড যথাক্রমে প্রিমিয়াম স্পন্সর এবং ব্যাংকিং পার্টনার হিসেবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
কে এম খালিদ বলেন, পর্যটন খাতকে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। যদিও বিগত ১০-১২ বছরে এ খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তারপরও আমাদের পর্যটন খাতকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা দরকার। এ লক্ষ্যে পর্যটনসংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের আরো মনোনিবেশ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কোনো নতুন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকরা সাধারণত সে দেশের ঐতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থানগুলো পরিদর্শন করে থাকেন। প্রাগৈতিহাসিক ও প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। এ দেশের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য। আমাদের সরকারি গেজেটভুক্ত ৫১৭টি প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থানের যথাযথ সংস্কার-সংরক্ষণ সম্পন্ন করা হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল।
মো. মফিদুর রহমান বলেন, এভিয়েশন ও ট্যুরিজম একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি ট্যুরিজম রিলেটেড ইভেন্ট হলেও এটির প্রধান স্পন্সর দুটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান- এয়ার অ্যাস্ট্রা এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ট্যুরিজমকে প্রমোট করার জন্য এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, এই ইভেন্ট ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলা চলবে ২০ মে (শনিবার) রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা ভিজিট করা যাবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা।

যারা মেলার অংশ নেবে তাদের এন্ট্রি কুপনের ওপর প্রতিদিন র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে কায়রো, দুবাই, মালে, ব্যাংকক, কলকাতা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও সিলেট ভ্রমণের জন্য এয়ার টিকেট, তারকা হোটেলে রাত্রিযাপন, ফ্রি লাঞ্চ অথবা ডিনারের সুযোগ।
এবারের মেলায় এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, ওমান, ইউএই ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
মেলা চলাকালে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেবে। যার মধ্যে রয়েছে কম মূল্যে এয়ার টিকেট, হোটেল রুম ও ট্যুর প্যাকেজ। ###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়