সিজার হত্যায় গ্রেপ্তার ৬ : অটোরিকশা ছিনতাই করা তাদের পেশা

আগের সংবাদ

বৃষ্টি ও জোয়ারের অপেক্ষায় হালদা নদীতে মাছের পোনা সংগ্রহকারীরা

পরের সংবাদ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ : ঝিকরগাছা

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : ঝিকরগাছা উপজেলায় ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্যদের ভাতার টাকা না দেয়া, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড বিতরণে অনিয়ম, কর্মসৃজন ওয়ার্ডভিত্তিক জনসংখ্যার হারে বণ্টন না করার অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান ট্যাক্স ও হোল্ডিং এর টাকা আদায় করে ব্যাংকে জমা দেননি। হিসাব না দেয়া, আত্মীয়দের মধ্যে টিসিবি কার্ড, বিভিন্ন সরকারি অনুদান, সার ও বীজ বিতরণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা। এমন অনিয়মের অভিযোগ এনে আটজন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারীরা হলেন- ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তানিয়া সুলতানা, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড ও প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল, ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. তালিমুল ইসলাম এবং ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মহিদুল ইসলাম।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের এলডিএসপির প্রকল্প মেম্বারদের না জানিয়ে ইচ্ছামতো প্রকল্প দেয়া হয়। লিখিত অভিযোগে ছয়জন জানান, তাদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান বিভিন্ন কার্যক্রম ইচ্ছামতো পরিচালনা করেন। অভিযোগের মোট ১২টি পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়, ১৫ টাকা চালের কার্ড উপকারভোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক জমা নিয়ে চেয়ারম্যানের নিজস্ব আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। এ কারণে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ১ হাজার উপকারভোগী চাল পায়নি। গত ১ বছর চার মাসে ৩০ লাখ টাকা আদায় করলেও চেয়ারম্যান সেই টাকার হিসাব দেয়নি। এছাড়া ইউপি সদস্যদের মাসিক ৪৪০০ টাকা ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও সেটা দেয়নি।
ইউপি সদস্য তালিমুল ইসলাম জানান, এর আগেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন বলেন, মেম্বাররা অনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করে কিন্তু কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক জানান, অভিযোগ তদন্তাধীন আছে। অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়