আরাভ খানের অস্ত্র মামলার রায় ৯ মে

আগের সংবাদ

রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব : ৪ ভাগ বাড়িতে এডিস মশা, বেশি দক্ষিণে, সমন্বিত কার্যক্রম চালাবে দুই সিটি

পরের সংবাদ

সিজার হত্যায় গ্রেপ্তার ৬ : অটোরিকশা ছিনতাই করা তাদের পেশা

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাঝরাতে ফাঁকা সড়কে অবস্থান নিতেন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। পরে চক্রের এক সদস্য একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ওই জায়গায় নিয়ে যেতেন। এরপর জোরপূর্বক অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়া হতো। যেসব চালক অটোরিকশা দিতে চাইতেন না, তাদের রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে হাত-পা বেঁধে সড়কে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতেন চক্রের সদস্যরা। অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেয়া হতো নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে। এমনই এক ছিনতাই চক্রের হাতে গত ২৯ এপ্রিল মাঝরাতে শ্যামপুর কদমতলী রোডে খুন হন অটোরিকশা চালক সিজার হোসেন। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি জানিয়েছে, অটোরিকশা ছিনতাই করাই ওই চক্রটির পেশা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী মো. বায়েজিদ, মো. রাসেল, মো. হৃদয় হাওলাদার, হুমায়ুন কবির, সেলিম ও হৃদয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও হবিগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, অজ্ঞাত হিসেবে অটোরিকশা চালক সিজারের লাশটি উদ্ধারের পর তার বাবা রবিউল ইসলাম পরিচয় নিশ্চিত করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ক্লুলেস ঘটনাটির তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। সিজারকে হত্যার পর অটোরিকশার সঙ্গে তার মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। ওই মোবাইলের সূত্র ধরে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মাঝরাতে অটোরিকশা ছিনতাই করা তাদের পেশা। এর আগেও তারা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। সিজারকে হত্যার পর চিটাগং রোড এলাকায় গিয়ে ১৭ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করে তারা। পরে অটোরিকশাটি এক ভাঙারি দোকানদার কিনে নেন।

তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে এ চক্রের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়