প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পৌর শহরসহ ৮টি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ করাত কল বা ‘স’ মিল। বনভূমির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা গায়েই মাখছে না অবৈধ করাত কলের অসাধু মালিকরা। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না নিয়ে বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ শতাধিক করাত ‘স’ মিল।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক ও বনের পাশে এভাবে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র বিহীন অবৈধ করাত কল গড়ে উঠেছে। আর বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘শিগগিরই’ ব্যবস্থা নেবে। বন আইন অনুযায়ী বন বিভাগের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ‘স’ মিল দেয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার পৌর শহরসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে করাত কল।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় এ উপজেলায় ‘স’ মিলের ছড়াছড়ি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ এবং ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে বনাঞ্চল। অবৈধ করাত কলগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর ‘স’ মিলের মালিক তোতা মিয়া জানান, মিল চালানোর জন্য বন বিভাগ দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। এখনো অনুমোদন পায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা জানান, করাত কল চালানোর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাই বাছাই করা হবে। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।