কাগজ প্রতিবেদক, চাঁদপুর : শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামে রাস্তার পাশের চা দোকানি আবুল কাশেম হত্যা মামলার আসামি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার মো. বাবুলকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে আসামি বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়েছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
বাবুল সোনাইমুড়ি থানার আমকি গ্রামের পাঠানবাড়ীর মৃত লোকমান হোসেন ওরফে লোকমান ডাকাতের ছেলে। হত্যার শিকার আবুল কাশেম শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের রাস্তার পাশের চা দোকানি।
পুলিশ জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে আবুল কাশেম তার দোকান খুলে বসেন। এ সময় বাবুল ও তার সহযোগী দুজন মোটরসাইকেলে এসে ওই চা দোকানে বসেন। তারা তিনজন ওই দোকানে চা পান করেন এবং চা পান করা অবস্থায় সিগারেট চান। সিগারেটও দেয়া হয়। তার বিল প্রদানের জন্য দোকানি আবুল কাশেমকে ৫০০ টাকার নোট দেন। এত সকালে ৫০০ টাকার নোটের ভাংতি নেই বললে তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তার আসামি বাবুলসহ তিনজন দোকানির মাথায় আঘাত করে এবং চুলার কেটলিতে থাকা গরম পানি শরীরে ঢেলে চলে যায়। এ সময় আবুল কাশেম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান পৌনে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় দোকানির ছেলে মো. শরীফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার জন্য থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজুল ইসলামের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তদন্তকালীন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তার আসামি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মর্মে নিশ্চিত হন। এরপর গত শুক্রবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি বাবুলকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার আসামি বাবুল পুলিশের জিজ্ঞাবাদে ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে পলাতক আসামি সোনাইমুড়ির কেগনারখিল গ্রামের পারভেজ এবং চাটখীল থানার ফতেপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।