মার্কিন সেনা অভিযান : সিরিয়ায় জ্যেষ্ঠ আইএস নেতা নিহত

আগের সংবাদ

বঙ্গবাজার ফের চক্রের কবজায়! : অস্থায়ী দোকান বসবে শনিবার, আগুন নির্বাপণ হয়নি পুরোপুরি

পরের সংবাদ

যে কোনো বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাবে : পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম কিস্তির চেক হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** ফায়ার ব্রিগেডে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ** বাধা না এলে বঙ্গবাজারে ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম **
কাগজ প্রতিবেদক : জনগণের সমর্থন নিয়ে যে কোনো বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাবে- এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, জনগণ আমাদের পাশে থাকলে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এর সেরা উদাহরণ। গতকাল বুধবার দুপুরে গণভবনে পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম কিস্তির চেক নেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতু নির্মাণের ঋণ পরিশোধের প্রথম কিস্তির প্রায় ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণ স্থগিত করে। সেইসঙ্গে আরো কয়েকটি সংস্থা একই কাজ করে। তাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে আমরা এ ঋণ নিই।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে জনগণ যেভাবে সমর্থন দিয়েছে তেমনি দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পুরো জাতি সরকারের সঙ্গে হাত মেলাবে। জনগণ আমাদের পাশে থাকলে দুর্যোগের মতো যে কোনো বাধা অতিক্রম করে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে পারব। আমার প্রধান শক্তি হলো এদেশের জনগণ। তাদের শক্তিই আমার শক্তি। তারা আমাদেরকে অটুট সমর্থন দিয়েছেন বলেই আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে পেরেছি। এজন্য আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আর যারা মনে করেন অন্যের সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়। আমি তাদের ধিক্কার জানাই। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণ করেছি, বৈশ্বিক মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, বাঙালি জাতির গর্ব ও সামর্থের প্রতীক। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য যে ঋণ নেয়া হয়েছে তা আমরা এখন টোল থেকে পরিশোধ করতে পারব।

আমরা আশা করছি, পদ্মা সেতুর মেয়াদ ১০০ বছরের বেশি হবে। তবে আগামী ৩৫ বছরে টোল থেকে এর নির্মাণ ব্যয় আহরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এই সুসংবাদের সঙ্গে জাতি একটি দুঃসংবাদও পেয়েছে তা হলো বঙ্গবাজারে আগুন। বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যে সব ব্যবসায়ী বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সর্বাত্মক সহায়তা আমরা দেব। রমজানে ব্যবসায়ীদের কষ্ট ও কান্না সহ্য করা যায় না। আমি আগেই বলেছি, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব। আমরা ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মূল্যায়ন করব।
বাঁধা না এলে বঙ্গবাজারে ভালো মার্কেট তৈরি করা যেত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সালে বঙ্গবাজার মার্কেটে একবার আগুন লাগে। এরপর ২০১৮ সালেও আগুন লাগে। তারপর আমরা সেখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প নিই। তখন কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়। সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। আজ এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত না।
বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার ব্রিগেডে হামলাকারীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু লোকের আচরণ আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। যখনই আগুন লেগেছে, ফায়ার ব্রিগেড সেখানে চলে গিয়েছে আগুন নেভাতে। এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার বাহিনী, ভলান্টিয়ার প্রত্যেকে সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। কথা নেই, বার্তা নেই, দুপুরের পর একদল লোক লাটিসোটা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো শুরু করে। এ সময় হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যারা ফায়ার ব্রিগেডে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়