কাগজ ডেস্ক : সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনারা। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
সেন্টকমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত খালিদ আয়াদ আহমেদ আল জাবুরি ইউরোপে আইএসের হামলার পরিকল্পনা এবং গোষ্ঠীটির নেতৃত্বের কাঠামো গড়ে তোলার জন্য দায়ী। ২০১৪ সালে আইএস তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকার সময় ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, পরে লড়াইয়ে উভয় দেশেই তারা পরাজিত হয়।
এখন এই দেশ দুটিতে আইএসের ৫ থেকে ৭ হাজার সদস্য ছড়িয়ে আছে এবং তাদের প্রায় অর্ধেক যোদ্ধা বলে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। সেন্টকম দাবি করেছে, সিরিয়ায় তাদের আক্রমণের সময় কোনো বেসামরিক নিহত বা আহত হয়নি।
বিবৃতিতে সেন্টকম বলেছে, ‘আল জাবুরির মৃত্যুতে বিদেশে গোষ্ঠীটির হামলা চালানোর পরিকল্পনার সামর্থ্য কিছু সময়ের জন্য বিঘিœত হবে।’
সিরিয়া ও ইরাকের সংশ্লিষ্ট ‘অঞ্চল ও এর বাইরের এলাকাগুলোর জন্য আইএস ধারাবাহিক হুমকি’ হিসেবে রয়ে গেছে বলে দাবি করেছে তারা।
‘সামর্থ্য কমে গেলেও গোষ্ঠীটি এখনো ওই অঞ্চলে অভিযান চালানো সক্ষমতা রাখে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও হামলা চালাতে চায়,’ বিবৃতিতে বলেছে সেন্টকম।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ইসলামিক স্টেট ও এর অনুমোদিত গোষ্ঠীর হুমকি উচ্চ ছিল এবং যেখানে তাদের উপস্থিতি আছে সেইসব সংঘাতকবলিত এলাকায় ও তার আশপাশে এ হুমকি আরো বেড়েছিল।
গত বছর ইসলামিক স্টেট জানিয়েছিল, তারা আবু আল হুসেইন আল হুসেইনি আল কুরেইশিকে তাদের নেতা নির্বাচিত করেছে।
এই আবু আল হুসেইন আগে থেকে পরিচিত কোনো ব্যক্তি ছিলেন না এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় তাদের পূর্ববর্তী নেতা নিহত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি তাকে নেতা নির্বাচিত করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।