মার্কিন সেনা অভিযান : সিরিয়ায় জ্যেষ্ঠ আইএস নেতা নিহত

আগের সংবাদ

বঙ্গবাজার ফের চক্রের কবজায়! : অস্থায়ী দোকান বসবে শনিবার, আগুন নির্বাপণ হয়নি পুরোপুরি

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : বিএনপি মানুষের জন্য রাজনীতি করে না

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। কারণ জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। এ দলটি মানুষের জন্য রাজনীতিও করে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা শুধু ঘরে বসে বিবৃতি দেয়।
গতকাল বুধবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া এতে স্বাক্ষর করেন। বিবৃতিতে বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনা মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবাজারের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন। তার নির্দেশেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আমাদের নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করেছে। ৪টি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন ও দোকান, কর্মচারীদের জীবিকার অবলম্বন। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সরকারের ছয় সংস্থা সরাসরি অংশ নিয়েছে। সরকারি সংস্থাসহ নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের মালামাল রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। অথচ বিএনপিকে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। কারণ তারা মানুষের রাজনীতি করে না। জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা নেই। তারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব না করে শুধু ঘরে বসে থেকে বিবৃতি দেয়। ফলে এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়েও মির্জা ফখরুলের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।
‘বিএনপি তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করে না’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য সম্পর্কে কাদের বলেন, বিএনপি এ দেশে বারবার তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। ২০০৭ সালে প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে গণআন্দোলনের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
কাদের আরো বলেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এ দেশে সরকার পরিবর্তন হবে। জনগণের ভোটেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। বিএনপির ওপর জনগণ আস্থা রাখতে চায় না। মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন খালেদা জিয়াকে নাকি সরকার গৃহবন্দি করে রেখেছে। তারেক জিয়াকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। আমরা সেটা করিনি। বিএনপির পছন্দের ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই মামলায় তারা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন। তারেক রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছিল।
আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের আমলেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। দুর্নীতিই ছিল বিএনপির একমাত্র নীতি। জনগণ সেই অপশাসনের দুঃসময়ে ফিরতে চায় না। দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, সংবিধান মেনে যথাসময়েই নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠিত হবে। সব সংকট মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা সুদক্ষ নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়