১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

মনোনয়নে আ.লীগের গুরুত্ব তৃণমূল : চ্যালেঞ্জে শতাধিক এমপি, চাপের মুখে সাংগঠনিক সম্পাদকরা, জেলার পর উপজেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

পরের সংবাদ

মাঠপর্যায়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের ৫টি সিটি করপোরেশনের ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আগামী বৈঠকে নেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার  মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
গত ১৫ মার্চ কমিশনের ১৬তম বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ মে ৫ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল। এক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার পরপরই গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এপ্রিলের প্রথমার্ধেই কমিশন বৈঠক হবে। সেখানেই ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার পরবর্তী ৫ বছর। আর পরবর্তী নির্বাচন শেষ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর খুলনা সিটির নির্বাচন হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এ দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই বছরের ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আগামী ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।
এদিকে গতকালের কমিশন বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সচিবালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। রোডম্যাপ থেকে যেন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা পিছিয়ে না পড়েন সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় বলে জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, এদিন আমাদের মাসিক সমন্বয় সভা ছিল। ইসির সব কর্মকর্তাকে এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠকে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এবং তারা (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পুরো কমিশন) ছিলেন।
ইসি সচিব বলেন, সিইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে আমরা পিছিয়ে না পড়ি। এক্ষেত্রে নির্বাচনের টপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে মাঠপর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি, ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলোকে যাচাই করে এসব বিষয়ে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এরই মধ্যে গণমাধ্যমে বলেছেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধন ও আইন সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে ইসি। বড় এ কাজগুলোর প্রতিটিই প্রায় মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয় মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সম্পন্ন করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণের বড় কাজটিও এরই মধ্যে শুরু করেছে কমিশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়