ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

সিইসির চিঠির জবাবে বিএনপি : তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নন, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানের মূল রাজনৈতিক সংকট নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো আলোচনা অথবা সংলাপ হবে অর্থহীন। গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ পর্ষদ স্থায়ী কমিটির গত মঙ্গলবারের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিইসি ভদ্রলোক মানুষ, বিশিষ্ট ভদ্রলোক। তার ভাষা অত্যন্ত মার্জিত। তবুও তার ডাকে সাড়া দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয় এবং ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষমতা তাদের নেই। তাই বিএনপি সিইসির সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। আমি এই প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সেটা জানিয়ে দিলাম। আশা করি, আমাদের মতামতটা তিনি গ্রহণ করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা করতে হলে সরকারকে করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হবে। সুতরাং ওটা নিয়ে সরকারকেই আলোচনা করতে হবে। আমাদের কথা খুব স্পষ্ট যে, এই বিষয় ছাড়া আর কোনো বিষয়ে আলোচনায় আমাদের কোনো আগ্রহ নেই।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে বিএনপির এই দাবির কিছুই আদায় হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিইসির কোনো ক্ষমতাই নেই দেশের এই সমস্যা সমাধান করার, তার কাছে এই সুযোগ (সংলাপ) কী জন্য নেব? তিনি তো মেইলবক্স নন যে, তার কাছে পাঠিয়ে দিলাম, তিনি পাঠিয়ে দিলেন সরকারের কাছে। এটা পুরোপুরি সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারে। অন্য কেউ এটা পারবে না।
ওয়াকওভারে কখনোই বিশ্বাস করি না : সরকার দাবি না মানলে ওয়াকওভার দেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ওয়াকওভারে কখনোই বিশ্বাস করি না। আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ফর ইলেকশনে বিশ্বাস করি। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার আগে আমরা ১০ দফা কর্মসূচি যেটা দিয়েছি সেটা হলো রিজানইড ফাস্ট। সংসদ বাতিল করেন, নতুন একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপরে নির্বাচন হলে একশ বার নির্বাচনে যাব।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বয়কট করেছিলাম। ২০১৮ সালে আমরা ওয়াকওভার দিতে চাইনি। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে একবার না দুই দফা তিনি সবার সামনে ওয়াদা করলেন যে, একদম নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কোনো রকমের অত্যাচার-নির্যাতন হবে না, পুলিশি নির্যাতন হবে না, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে, ভোটে কারচুপি-ছলচাতুরি হবে না। বার বার করে তিনি বলেছেন। কি লাভ হয়েছে? এখন আপনি যা-ই বলেন, যত সুন্দর ভাষায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার যাই বলেন, কি হবে? আমরা আর আস্থা রাখতে পারছি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়