ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাব কমিশন গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

চিকিৎসার ফি নির্ধারণ কতদূর? : বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেন ৮৬ শতাংশ মানুষ, স্বাস্থ্য খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে

পরের সংবাদ

মেসির মাইলফলকের দিনে আর্জেন্টিনার বড় জয়

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে গতকাল লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে কুরাকাওকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের পর মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে পানামাকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা পেল আলবিসেলেস্তেরা। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০তম গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মেসি। অপরদিকে কেভিন ডি ব্রুইনার অসাধারণ নৈপুণ্যে জার্মানিকে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। এছাড়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে স্কট ম্যাকটোমিনের জোড়া গোলে স্পেনকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে স্কটল্যান্ড। তুরস্ককে ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করতে মেসির দরকার ছিল মাত্র এক গোল। আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সান্তিয়াগো ডেল এস্তেরোতে কুরাকাওয়ের বিপক্ষে ২০ মিনিটেই গোলের দেখা পান সাতবারের ব্যলন ডি’অর জয়ী এই তারকা। এই গোলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান মেসি। আর ৩৭ মিনিটে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। জাতীয় দলের হয়ে এটি মেসির সপ্তম হ্যাটট্রিক। ম্যাচে তিন গোল করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন মেসির গোলসংখ্যা ১০২টি।
কুরাকাওকে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে বাকি চারটি গোল করেন নিকো গঞ্জালেস, এনজো ফার্নান্দেজ, ডি মারিয়া এবং গঞ্জালো মন্টিয়েল। মেসির করা প্রথম গোলের পর ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গঞ্জালেস। মেসি দ্বিতীয় গোলের দেখা পাওয়ার পর ম্যাচের ৩৫ মিনিটে এক হালি পূর্ণ করেন এনজো। এরপর মেসি হ্যাটট্রিক পূরণ করলে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করেন ডি মারিয়া। আর ম্যাচের ৪৭ মিনিটে কুরাকাওয়ের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মন্টিয়েল। ম্যাচ শেষে মেসির প্রশংসা করে গঞ্জালেস বলেন, ‘মেসিকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। প্রতিদিন, প্রতিটি ম্যাচেই সে এটা প্রমাণ করছে। যতবারই সে বল ধরে ততবারই সবাইকে আনন্দে ভাসায়।’
আরেক প্রীতি ম্যাচে ঘরের মাঠে ১৯৫৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বেলজিয়ামের কাছে হেরে গেছে জার্মানি। ম্যাচের ৬ মিনিটে কারেসকোর গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর ম্যাচের ৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোমেল লুকাকু। দুটি গোলেরই অ্যাসিস্ট করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। তবে বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে ডি-বক্সে লুকাকুর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন নিকলাস ফুয়েলক্রুগ। দ্বিতীয়ার্ধে আগ্রসী আক্রমণ শুরু করে জার্মানি। টিমো ওয়ার্নারের গোলে সমতায় ফিরলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। এরপর ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোল করে বেলজিয়ামের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করেন ডি ব্রুইনা। তবে ম্যাচের ৮৭ মিনিটে সার্জিও গ্যানাব্রির আরেকটি গোল পরিশোধ করলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি জার্মানি। জয়ের পর বেলজিয়ামের নতুন কোচ ডোমেনিকো টেডেসকো বলেন, ‘ফলাফলের বাইরে গিয়ে একটি কথা বলতে হয়, এই প্রীতি ম্যাচে আমরা কীভাবে পারফর্ম করেছি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে খেলাটা কখনোই সহজ নয়। জার্মান দলে আসলেই বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় রয়েছে।’
জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘আমরা খুব বেশি সংযত, খুব বেশি নিষ্ক্রিয় ছিলাম। তাদের খুব একটা চাপে রাখতে পারিনি। বেলজিয়াম অবিশ্বাস্য রকম ভালো খেলেছে।’
এছাড়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে স্কট ম্যাকটোমিনের জোড়া গোলে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে স্পেন। ১৯৮৪ সালের পর এটাই স্পেনের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের প্রথম জয়। ২০০৭ সালে ফ্রান্সকে হারানোর পর স্কটল্যান্ডের এটাই সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার ম্যাকটোমিনে বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামে আসার পথে বাসে ম্যানেজার আমাদের বলেছিলেন স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের প্রমাণের এটাই তোমাদের সামনে সেরা সুযোগ। এই রাতটির কথা একজন খেলোয়াড় হিসেবে ২০-৩০ বছর তোমাদের মনে থাকবে। যখন তোমরা ম্যাচটি দেখবে তখন অন্যদের বলতে পারবে, আমিও এই ম্যাচে খেলেছি।
এই ম্যাচটা এমনই।’
হারের পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, যে দুটি সুযোগ তারা পেয়েছে তা শতভাগ কাজে লাগিয়েছে। আমরাও চেষ্টা করেছি। আমাদের দুটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। আমরাও অনেক সুযোগ তৈরি করেছি, বিশেষ করে প্রথমার্ধে আমাদের আধিপত্য ছিল বেশি। এই বিষয়গুলোতে আমাদের উন্নতি করতে হবে। না হলে এই ধরনের পরাজয় বারবার বরণ করতে হবে।’
ডি-গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া। তুরস্ককে ২-০ গোলে পরাজিত করে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। চেলসি মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচ প্রথমার্ধে জয়সূচক দুটি গোলই করেছেন। আর দুই গোলেরই জোগানদাতা ছিলেন মারিও পাসালিচ। গ্রুপের আরেক ম্যাচে লাটভিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে রব পেজের ওয়েলস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়