ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মাপাড়ে গাড়ির ভেতর থেকে চালক সম্রাট খানের (২৯) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় সম্রাটের বন্ধু আবদুল মমিন ও তার স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি আবদুল মমিন এখনো পলাতক রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন যে অর্থ আত্মসাতের জন্য তার ছেলে সম্রাটকে হত্যা করা হয়েছে। আটক নারীর দেয়া তথ্য, মামলার বাদীর এজাহারসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মামলাটির তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে। আটক নারীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে সীমাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে। মামলার অন্য আসামি সীমার স্বামী আবদুল মমিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ২৫ মার্চ সকালে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভেতর থেকে বস্তাবন্দী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর খেয়াঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম সম্রাট (২৬)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। রূপপুর প্রকল্পে ‘নিকিম’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, গত বুধবার থেকে খেয়াঘাট এলাকায় গাড়িটি পড়ে ছিল। তারা প্রথমে মনে করেছেন, গাড়ি রেখে পদ্মা পাড় হয়ে কেউ কাজে গেছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তারা পুলিশে খবর দেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন হোসাইন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গাড়িটি দেখেছেন। তবে কেউ বেড়াতে এসেছেন ভেবে দেখে চলে যান। গাড়িটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একজন রুশ কর্মকর্তা ব্যবহার করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।