তুরাগ : মাদক কারবারির হাতে ছুরিকাহত এসআই

আগের সংবাদ

বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

পরের সংবাদ

১ মিনিট ‘ব্ল্যাকআউট’ : আলোর মিছিলে গণহত্যার স্বীকৃতি দাবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৩ , ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ঘন তমসাচ্ছন্ন এক রাত নেমে এসেছিল এ ভূখণ্ডে। ১৯৭১ সালে এ রাতে ঢাকা শহরের আলো নিভিয়ে যে অপারেশন সার্চলাইটের অতর্কিত হত্যাযজ্ঞে মেতেছিল হানাদার বাহিনী, মর্মন্তুদ সেই রাতের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল পর্যন্ত ‘গণহত্যার কালরাত্রি সমাবেশ ও আলোর মিছিল’ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বঙ্গবন্ধু গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কথাসাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, প্রজন্ম একাত্তরের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা। প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর তণ¥য় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি মুনীর চৌধুরীর পুত্র। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে আলো বন্ধ রেখে প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হয়। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেই নৃশংস গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী এক মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাকআউট’ পালনের কর্মসূচি নেয় সরকার।
আলোর মিছিলে দীপু মনি বলেন, একটা অপশক্তি আমাদের স্বাধীনতার চর্চাকে রুখে দেয়ার চেষ্টা করে। তারা শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত করে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫৩টি মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিল বের করা হয়। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে আগুনের পরশমণি গানের সুরে আলোর মিছিলে অংশ নেন সব স্তরের মানুষ।
রাত সাড়ে ১০টায় মশাল ও মোমবাতি হাতে ‘আলোর মিছিল’ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গণকবরে উপস্থিত হন সবাই। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মোমবাতি নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে নিহত শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় এ আয়োজন শুরু হয়। এ সময় গান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়