সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

হারের বৃত্তে মোহামেডান : তামিমের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের সহজ জয়

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গতকাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সিরিজে রানে ফেরার ইঙ্গিত দেয়া টাইগার অধিনায়ক এই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান। অন্য ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৩ উইকেটে হারায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪২ ওভারে ১৯৯ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও মোহাম্মদ মিঠুন তোলের ৭৩ রান। ৩৬ বলে ৩১ রান করে অধিনায়ক মিঠুন বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন তামিম। ওয়ানডাউনে নামা নাসির হোসেন আউট হন মাত্র ১ রান করে। এরপর ব্যর্থ হন ইয়াসির আলি। তিনিও সাজঘরে ফেরেন ১ রান করে। ১০ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। সেই চাপ সামাল নিয়ে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন তামিম। ৫৭ বলে ২ চারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। আর ১৫৬ বলে ১২ চারে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তামিম। ৪৩ ওভারেই জয় পায় তার দল। মোহামেডানের হয়ে দুইটি উইকেট নেন পেসার খালেন আহমেদ আর একটি উইকেটের দেখা পান শুভাগত হোম। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল মোহামেডান।
দীর্ঘ সময় ধরে রান খরায় ভুগছিলেন টাইগারদের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপট দেখাতে পারেননি এই ব্যাটার। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৩ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ২৩ রান। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছুটা ছন্দে দেখা যায় তামিমকে। ম্যাচটিতে ৪১ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় পর্যন্ত পৌঁছাতে ভালো অবদান রাখেন। সিরিজের পর ডিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার।
আগে ব্যাট করতে নেমে মোহমেডানের ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম। তারা দুজন মিলে তোলেন ৪৪ রান। ২২ রানে ইমরুল ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে তাকে তারা। ওয়ান ডাউনে সৌম্য সরকার করেন ১৭ রান।
দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে ওপেনার মাহিদুলের ব্যাট থেকে। এরপর অনুষ্টুপ মজুমদার ২৫, আরিফুল হক ২২, শুভাগত হোম করেন ২৬ রান। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৮ রানের সুবাদে কোনোরকমে মাঝারি সংগ্রহ দাড় করায় মোহামেডান। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসির হোসেন। ২টি করে নেন রুবেল হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা।
লিগের অন্য ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩ উইকেটে হারায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে। এই জয়ে ডিপিএলে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয় তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৩ ওভারে ২০৭ রানে অল আউট হয় শাইনপুকুর। এরপর বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলে ডিএল ম্যাথডে রূপগঞ্জের সামনে ৩৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৮ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর ওয়ানডাউনে নামা সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। মুনিম ১৭ রানে আউট হওয়ার পর ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাব্বির। আউট হন ৫৩ বলে ৩৬ রান করে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় অধিনায়ক মাশরিাফও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইরফান শুক্কুর ও চিরাগ জানি মিলে রূপগঞ্জকে জয়ের পথেই রাখেন। এই জুটিতে তারা তোলেন ৬৭ রান। ৫৮ বলে ৪৩ রান করে ম্যাচের শেষ ভাগে আউট হন। আর চিরাগের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৪২ রান।
দ্রুত দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পরপরেই সোহাগ গাজী ২ রানে আউট হলে আবারো হারের শঙ্কায় পড়ে রূপগঞ্জ। তবে তানবির হায়দারের অপরাজিত ১০ও মুক্তার আলীর অপরাজিত ১ রানের সুবাদে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফি বাহিনী। শাইনপুকুরের হয়ে একাই তিন উইকেট নেন হাসান মুরাদ। ২টি উইকেট নেন শামসুর রহমান আর একটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান রানা। ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে রূপগঞ্জের অলরাউন্ডার চিরাগ জানি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শাইনপুকুর। দলীয় ৪ রানের মধ্যেই দুই ব্যাটারকে হারানোর পর সেখান থেকে দলটিকে টেনে তুলেন প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ও অমিত হাসান। মিডল অর্ডারে সাজ্জাদুল হক রিপনের ব্যাটে আসে ৫৭ রান। আর তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় শাইনপুকুর। রূপগঞ্জের হয়ে ৯ ওভার বল করে ৩৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন চিরাগ। তিনটি উইকেটের দেখা পান মাশরাফি। একটি করে উইকেট নেন আল আমিন হোসেন ও নাইম ইসলাম জুনিয়র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়