প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির কারণে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পলিসি এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অদূরদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তে সরকারের ওপর বিশাল পরিমাণ ভর্তুকির চাপ রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি সেন্টারে ‘নতুন নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি ২০২২ (খসড়া) : এটি কি পরিচ্ছন্ন জ¦ালানির লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে?’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির পলিসিতে পিছিয়ে আছে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানিকে নিরুৎসাহিত না করা হলে এই পলিসির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তার করা সম্ভব নয়। বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতির কারণে দেশে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি পলিসি এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে অদূরদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের ওপর বিশাল পরিমাণ ভর্তুকির চাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ¦ালানি পলিসি-২০২২ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান বিদ্যুৎ খাতে যে সংকট রয়েছে তা অনেকটাই কমে যাবে। অদূরদর্শী ও ভুল সিদ্ধান্তে সরকার বিশাল ভর্তুকির চাপে পড়েছে। আর ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে তা ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে গৃহীত নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতির নতুন খসড়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন ও বিস্তারে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা মূলনীতির চেয়ে আরো বেশি বিস্তারিত এবং নতুন প্রস্তাবনা সমৃদ্ধ। তবে একইসঙ্গে মূল এবং খসড়া নীতির কিছু সিদ্ধান্তে সাংঘর্ষিকতা রয়েছে।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন পলিসিতে বায়ু, বিদ্যুৎ, বায়োম্যাস এনার্জি, ওয়েস্ট টু ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি, হাইড্রো এনার্জি বিষয়ে মাস্টারপ্ল্যান নেয়া হয়েছে। অন্য নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে- জিওথার্মাল এনার্জি, টাইডাল এনার্জি, ওয়েভ এনার্জি, রিভার কারেন্ট, হাইড্রোজেন এনার্জি ইত্যাদি।
এছাড়া পলিসির প্রথম দফায় ২০২৫ সালে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থেকে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যা সামগ্রিক উৎপাদনের ১০ শতাংশ।
এছাড়া ২০২৬-২০৪১ সালে ৬৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা উৎপাদনের ২০ শতাংশ এবং ২০৩১-২০৪১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যা উৎপাদনের ৪০ শতাংশ। কিন্তু ২০০৮ সালে গৃহীত পলিসির আওতায় সামগ্রিক উৎপাদনের ৮ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এটা পুরোপুরি পলিসির ব্যর্থতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়