সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

দক্ষিণ চীন সাগর : দুই পরাশক্তির উত্তেজনা তুঙ্গে

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে আবারো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছে বেইজিং। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের সমুদ্রসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস মিলিয়াস নামে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী একটি যুদ্ধজাহাজ গতকাল শুক্রবার অনুপ্রবেশ করে। দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দুই পরাশক্তির মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিন এমন মুখোমুখি অবস্থান দেখা গেল। এর আগে বৃহস্পতিবারও মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি নজরে পড়ায় সতর্কবার্তা জানিয়ে সেটিকে ফেরত পাঠিয়েছিল চীন।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এই ধরনের উসকানিমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আমরা তাদের সতর্ক করছি। অন্যথায় আমরা শক্ত পদক্ষেপ নেব।’
চীনা অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার তেমন কোনো মন্তব্য না করলেও এবার মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নৌবাহিনী বলছে, যুদ্ধজাহাজটি সমুদ্রপথে নৌচলাচলের অধিকার ও স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যেই পরিচালনা করা হয়েছিল। আরো বলেছে, নিয়মিতই দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌযান পরিচালনা করা হয়।
মার্কিন সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর চীনের বেআইনি দাবির কারণে সেখানে নৌচলাচলের স্বাধীনতা, মুক্ত ও বাধাহীন বাণিজ্যসহ সাগরটির উপকূলবর্তী দেশগুলোর সমুদ্রপথের স্বাধীনতার ওপর হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।’
কৌশলগত দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে চীন। সা¤প্রতিক সময়ে চীনা কর্তৃপক্ষ সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ ও সামরিক অবকাঠামো তৈরি করছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী চীনের এই দাবি ভিত্তিহীন। এ ছাড়া ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌচলাচলের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এই জলপথে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড জানায়, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিয়াস বৃহস্পতিবার প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে জলপথে প্রবেশ করেছে। সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র তিয়ান জুনলি বলেন, পিএলএ সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে ‘আইন অনুসারে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজটি ট্র্যাক করেছে এবং এটিকে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে’। তিনি বলেন, জাহাজটি ‘চীনা সরকারের অনুমতি ছাড়াই চীনের ভূখণ্ডের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে, এটি এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষতি করেছে। থিয়েটার বাহিনী সর্বদা উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী চীনের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিকে অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য, দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে তাদের যুদ্ধজাহাজ। একে তাড়ানো হয়নি। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আকাশ, নৌ ও জলপথ ব্যবহারের সুযোগ থাকবে, সেখানেই কার্যক্রম চালাবে তাদের বাহিনী।
দক্ষিণ চীন সাগর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালিতে চীনকে মোকাবিলা করতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জোট গড়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়