সিপিডির সংবাদ সম্মেলন : নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা দুর্নীতি

আগের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ : মতিয়া চৌধুরী, সংসদ উপনেতা

পরের সংবাদ

আর্জেন্টিনার জয়ের দিনে মেসির ৮০০তম গোল

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপ জয়ের পর গতকাল প্রথম তিন তারকা জার্সি পরে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে থিয়াগো আলমাদা ও লিওনেল মেসির গোলে পানামাকে ২-০ গোলে হারায় আলবিসেলেস্তেরা। এই ম্যাচে ক্যারিয়ারে ৮০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি। আর এক গোল করলেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করবে ৭ বারের ব্যলন ডি’অর জয়ী এই তারকা। অপরদিকে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাঁছাইপর্বে লিচেনস্টেইনকে ৪-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। মাঠে নেমেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙ্গে দেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যাচে জোড়া গোলেরও দেখা পান তিনি। বাছাইপর্বের অন্য ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে দীর্ঘ ছয় দশকের জয়খড়া কাটায় ইংল্যান্ড।
বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে পানামার বিপক্ষে মাঠে নামে মেসি বাহিনী। মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগেই আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠে আর্জেন্টানইন সমর্থকরা। এই ম্যাচে প্রায় ৮৫ হাজার দর্শক ম্যাচটি সরাসরি উপভোগ করার সুযোগ পায়। মেসি, কোচ লিওনেল স্কালোনি ও অধিকাংশ খেলোয়াড়রা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাঠে আসেন এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতে সুর মেলান। আর্জেন্টাইনরা এই ম্যাচকে নিয়েছিল জাতীয় বীরদের অভিবাদন জানানোর মঞ্চ হিসেবে। মেসিরাও তাতে শামিল হন সবটুকু আবেগ নিয়ে। জাতীয় সংগীতের সময় আবেগাপ্লæত হয়ে পড়েন মেসি। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন গোলকিপার মার্টিনেজ কোচ লিওনেল স্কালোনি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপের পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ৭৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রাখে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি মেসি-ডি মারিয়ারা।
বিরতি থেকে ফিরে খেলার গতি বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। তবে তাদের কয়েকটি আক্রমণ রুখে দেন পানামার গোলরক্ষক গুয়েরা। মেসির নেয়া দুটি ফ্রি কিক প্রতিহত করেন তিনি। এরপর ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ ডি মারিয়ার বাঁকানো একটি শট। তবে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে মেসির নেয়া ফ্রি কিক বারে লেগে ফেরত আসলে লিয়ান্দ্রে প্যারাদেসের গোলে শট নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেই শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লাগলে ফাকায় বল পেয়ে যান থিয়াগো আলমাদা। দারুণ শটে বল জালে জড়ান এই তারকা। এরপর ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পঞ্চম ফ্রি কিক থেকে বাঁকানো শটে স্বাগতিকদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। মুহুর্তেই পাল্টে যায় স্টেডিয়ামের পরিবেশ। বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াসে মেতে ওঠে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। এই গোলের ফলে ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত ৮০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন মেসি।
এই ম্যাচকে ঘিরে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই বুয়েন্স আয়ার্সে উৎসবের আবহ শুরু হয়। স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেয়া হয় ম্যাচের ৫ ঘণ্টা আগে। কোনোরকম ঝামেলা এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় ফুটবলারদের মাঠে আনা হয় ৬ ঘণ্টা আগে। দলের প্রত্যেককে উপহার দেয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা। জয়ের পর মেসি বলেন, ‘আমি সবসময় এই মুহূর্তটির স্বপ্ন দেখেছি। আমার দেশ আর্জেন্টিনায় আপনাদের সঙ্গে বিশ্বের সেরা জিনিসটি উদযাপন করা, তা হলো বিশ্বকাপ। আমরা যা করে আসছি, তা চলতে থাকুক এবং উপভোগ করতে থাকি, কারণ দীর্ঘদিন ধরেই এই জয়ের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। শুধু বিশ্বকাপই নয়, কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকেই আপনাদের যে ভালোবাসা ও সম্মান, সবাইকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা কথা দিয়েছিলাম যে এই ট্রফির জন্য নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দেব। আর লিওনেল স্কালোনির প্রতি চিরন্তন কৃতজ্ঞতা। তাকে ছাড়া আমরা এই বিশ্বকাপ জিততে পারতাম না। এই জার্সি যারা গায়ে চাপায়, তারা সবাই নিজের সবটুকু দিয়ে খেলে। কখনো কখনো ফল পক্ষে আসে না। তবে এবার আমরা তা করতে পেরেছি এবং যা অবিশ্বাস্য।’
অপরদিকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিনশিপের বাছাইপর্বে লিচেনস্টেইনকে ৪-০ গোলে হারানোর ম্যাচে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা মাইলফলক স্পর্শ করেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ১৯৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে যৌথভাবে কুয়েতের বাদের আল-মুতাওয়ার সঙ্গে শীর্ষে ছিলেন তিনি। নিজের মাইলফলকের ম্যাচটিকে জোড়া গোলের মাধ্যমে আরো স্মরণীয় করেছেন এই তারকা। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোল করার পর ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আরো একটি গোল করেন সিআর সেভেন। সেই সঙ্গে প্রথম ফুটবলার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০ গোলের রেকর্ড গড়েন ৫বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। এর আগে ৮ মিনিটে ক্যানসেলো ও ৪৭ মিনিটে সিলভার গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
আর ইতালির বিপক্ষে দেশটির মাটিতে দীর্ঘ ৬ দশকের জয়খরা কাটিয়ে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে হেরেই শিরোপার স্বপ্ন ভেঙেছিল সাউথগেটের দলের। ইতালিয়ানদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সবশেষ জয় ছিল ২০১২ সালে।
আর দেশটির মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তারা সবশেষ জিতেছিল সেই ১৯৬১ সালে। ইংলিশদের হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন ডেকল্যান রাইস ও হ্যারি কেন। স্পট কিক থেকে গোল করার সুবাদে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে যান কেন। পেছনে ফেলেন ওয়েইন রুনিকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়