প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি : মার্কিন প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা নির্মূল কমিটির

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ’৭১ এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বলা হয়- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তম মুসলিম রাজনৈতিক দলের নেতা ও সদস্যরা বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন না। সরকার রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করায় জামায়াতের প্রার্থীরা দলের নামে নির্বাচন করতে পারছেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদন বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশে জামায়াত পরিচালিত জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসকে ইন্ধন জোগাবে বলে মনে করে নির্মূল কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াত একটি গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিস্ট দল যারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না। এ কারণে বাংলাদেশের উচ্চতর আদালত ২০১৩ সালে এ দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে, যার ফলে দলীয় পরিচয়ে জামায়াতের নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। সরকার কখনো জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে ’৭১ এর গণহত্যার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করা হয়। এছাড়া জামায়াত মানবরচিত সংবিধানে বিশ্বাস করে না। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদি আব্রাহাম লিঙ্কনের বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণে ঘোষিত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করে ৮০ বছর আগে লিখেছিলেন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি কুফরি মতবাদ। গণতন্ত্রবিদ্বেষী জামায়াতে ইসলামকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার জন্য যে ওকালতি করছে, তা

উপমহাদেশসহ বিশ্বে জামায়াতের সন্ত্রাসী কাজকে উস্কানি দেবে। আমেরিকার মতো দেশে ৯/১১ এর মতো অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনার ইন্ধন জোগাবে। তাই যুক্তরাষ্টের এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
বিএনপির জোটে থেকে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রশ্রয়ে জামায়াত এখনো জঙ্গি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমেরিকা যদি বাংলাদেশসহ মার্কিন জনমত উপেক্ষা করে জামায়াততোষণ নীতিতে অটল থাকে, তাহলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও বিপদ ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সমাজকর্মী মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, জননেতা ঊষাতন তালুকদার, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.), অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, সাবেক জাতীয় ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়