প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

চোরাই স্বর্ণ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমেনি : শাহ আমানতে ধরা পড়ল প্রায় ৪ কেজি স্বর্ণ

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : স্ক্যানিংসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার চেকিং থাকলেও এর মধ্যেই সক্রিয় রয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরভিত্তিক স্বর্ণ পাচারকারী আন্তর্জাতিক চক্র। এর মধ্যে মাঝেমধ্যে কিছু ধরা পড়লেও অধিকাংশ সময়েই এসব শক্তিশালী চক্র স্বর্ণ-ডলারসহ বিভিন্ন মূল্যবান পণ্য পাচার করতে সক্ষম হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এসব পাচারকারী এতই শক্তিশালী যে তারা বিভিন্ন জায়গা সুচতুরভাবে ‘ম্যানেজ’ করেই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাঝেমধ্যে স্বর্ণ পাচারের ক্যারিয়ার (বহনকারী) ধরা পড়লেও মূলহোতারা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় চার কেজি ওজনের ৩২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে, যার দাম প্রায় সাড়ে তিন কোটি টকা। প্যান্ট, জুতা এবং পায়ুপথে স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে ওই যাত্রী চট্টগ্রামে আসেন বলে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১৮ মিনিটে দুবাই থেকে এসে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ওই যাত্রী আসেন। মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন (২৫) নামে ওই যাত্রীর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, ওই ফ্লাইটের ২৮-বি আসনের যাত্রী ছিলেন জিয়া। কাস্টমসের গোয়েন্দা টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে চিহ্নিত করে। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় রাখা প্যান্টের ভেতর থেকে ১৫টি ও জুতার ভেতর থেকে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া পেটের ভেতরে করে আরো স্বর্ণের বার আনার তথ্য আমাদের দেয়। এক্সরে রিপোর্টের ভিত্তিতে পায়ুপথের মাধ্যমে আরো ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার শরীরে আরো ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’
কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান আরো জানান, ৩২টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ৩ কেজি ৭২৮ গ্রাম, স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩ কেজি ৮২৭ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়