প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

ক্ষমতাকে সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে আ.লীগ : প্রধানমন্ত্রী > নয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে তুলে দিলেন স্বাধীনতা পুরস্কার

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি। অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ জাতীয় এই বেসামরিক পুরস্কার দেয়া হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত হয় এবং স্থিতিশীলতার অভাবের কারণে বাংলাদেশ এর আগে খুব একটা অগ্রগতি দেখতে পায়নি।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের সময়োপযোগী ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে, কারণ আমরা কখনো এডহক ভিত্তিতে কোনো পরিকল্পনা নিইনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুনির্দিষ্ট ও দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা সবকিছু করেছি। আমরা এডহক

ভিত্তিতে কিছুই করিনি। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় দেশের জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খেলাধুলা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, অর্থনীতি ও অন্যান্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করছি। আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছে। আমরা সম্ভবত একটি বিশ্লেষণের পর দারিদ্র্য হ্রাস সম্পর্কে আপনাদের কিছু সুসংবাদ দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। প্রত্যেক গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি দিচ্ছি। দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে আমরা এক কোটি মানুষকে প্রতি কেজি ৩০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে চাল দিচ্ছি। অন্য ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছি। রমজান মাসে আরো ৫০ লাখ মানুষকে চাল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে মানুষ কষ্ট না পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাল দেয়ার পাশাপাশি রমজান মাসে দরিদ্রদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলাসহ আরো কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে রমজানে কাউকে খাবারের জন্য কষ্ট করতে না হয়।
স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী : অনুষ্ঠানে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার নিজ হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর) এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। ‘সাহিত্য’ ক্যাটাগরিতে প্রয়াত ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) (মরণোত্তর) এবং ‘সাংস্কৃতিক’ ও ‘ক্রীড়া’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে পুরস্কার পেয়েছেন পবিত্র মোহন দে ও এ এস এম রকিবুল হাসান। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ‘সমাজ সেবা/জনসেবা’ বিভাগে এবং ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্যাটাগরিতে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন।
এর আগে ৯ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রত্যেকে একটি করে স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট ও সম্মানী চেক পেয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ড. ফেরদৌসী কাদরী অনুষ্ঠানে তার নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়