প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : রাখী দাশ পুরকায়স্থ ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক

আগের সংবাদ

বধ্যভূমি দেখার দায়িত্ব কার : সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি বধ্যভূমি, ২২ বছরে ২০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ হয়েছে

পরের সংবাদ

এমপি রতন ও তার ভাইয়ের ছবি অপসারণ : বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সংস্কার কাজে দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল। সেই ম্যুরালে স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাইয়ের ছবি সংযুক্ত করায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। ম্যুরাল থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি অপসারণের দাবি জানিয়ে গত বছরের ১ নভেম্বর মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য সাজেদা আহমেদ। পরদিন (২ নভেম্বর, ২০২২) দৈনিক ভোরের কাগজে ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল, ডিজাইন লঙ্ঘন করে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইদিনই ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। এরপর ৪ নভেম্বর মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি অপসারণের দাবি জানায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়।
জানা যায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদা আহমেদ ম্যুরাল থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি অপসারণের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে তা থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণের জন্য মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার ইউএনও এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি মধ্যনগরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি অপসারণ করে প্রশাসন। কিন্তু ছবি সরানোর পর আজ পর্যন্ত সংস্কার কাজ শেষ করা

হয়নি। দুই মাস ধরে সেখানে এক টুকরো সাদা কাপড় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সংস্কার কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রশাসনিক ভবনের প্রস্তাবিত এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের জন্য গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ থেকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কোটেশনের মাধ্যমে কাজটি পায় ধর্মপাশার মেসার্স রানা ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যুরাল থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি সরানোর পর ম্যুরালের অসমাপ্ত কাজ কেন সম্পন্ন করা হচ্ছে না, তা প্রশ্নবিদ্ধ। এভাবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত ম্যুরালটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। দ্রুত এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা উচিত।
ম্যুরালের যে অংশ থেকে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি সরানো হয়েছে, সেখানে একটি সাদা কাপড়ের টুকরো লাগানোর বিষয়ে এলজিইডির মধ্যনগর উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শাহাব উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা রয়েছে। এজন্য ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে।
মধ্যনগরের ইউএনও নাহিদ হাসান খান বলেন, ম্যুরালটি নির্মাণ সম্পর্কিত কার্যক্রম ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আর ধর্মপাশার ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়