দুদক চেয়ারম্যান : দুর্নীতি নির্মূলে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে দুদক

আগের সংবাদ

সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে : আইন ও বিধিমালার পরও সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নেই

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ভারতের তিনটি আলোচিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত তিনটি চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি অস্কার পুরস্কার পাওয়া ‘নাটু নাটু’ গানখ্যাত ‘আরআরআর’। এছাড়া ‘বেলা শুরু’ এবং ‘৮৩’ নামের দুটি চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়।
উৎসবের আমেজে এসব চলচ্চিত্র দেখতে থিয়েটার ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়াম হল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম। প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব উদ্বোধনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘আরআরআর’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। ডা. রাজীব রঞ্জন ও উপস্থিত অতিথিরা এস এস রাজামৌলী পরিচালিত এবং এনটি রামা রাও জুনিয়র, রাম চরণ, অজয় দেবগন ও আলিয়া ভাট অভিনীত অস্কার পুরস্কারপ্রাপ্ত বিখ্যাত সিনেমা ‘আরআরআর’ উপভোগ করেন। এর আগে বেলা ১১টায় প্রথমে দেখানো হয় নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘বেলাশুরু’। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তসহ আরো অনেকে। বিকাল তিনটায় দেখানো হয় কবির খান পরিচালিত রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘৮৩’।
স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারতের চলচ্চিত্র বিশ্ব সমাদৃত। ভারতীয় সিনেমা ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রচারের অন্যতম কার্যকরী হাতিয়ার। ভারতীয় সিনেমা সেটা হোক হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, তামিল বা যে কোনো আঞ্চলিক ভাষার তা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আমাদের জনগণের মধ্যে বন্ধন ও বন্ধুত্ব তৈরি করতে সাহায্য করছে। এই মুহূর্তে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করছি। দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরো বেশি সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আর এই চলচ্চিত্র উৎসব সেই নির্লোভ লক্ষ্যেরই পথ।
তিনি বলেন, ‘১৯৮০ এবং ১৯৯০ সালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে কিছু কারণে এই ধারা বন্ধ হয়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার একটি সিনেমা যার নাম ‘মনের মানুষের কথা’ আমি বলতে চাই। ছবিটি লালন ফকির সাঁইজির জীবনী অবলম্বনে নির্মিত। লালন ফকির সাঁইজি একাধারে বিশিষ্ট বাঙালি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, দার্শনিক, মরমি কবি এবং সমাজসেবক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সাংস্কৃতিক আইকনদের মধ্যে তিনি অন্যতম’। ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আমি বাংলা সিনেমার দিকেও দৃষ্টিপাত করতে চাই। বাংলা সিনেমা আর্ট ফিল্মের মতো কিছু চমৎকার কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, সমাদৃত। সত্যজিৎ রায়ের মতো বেশ কয়েকজন নির্মাতা তাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের বিশেষত্বের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ এই মহাদেশের চলচ্চিত্র ও নির্মাতাদের বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়