আশালতা : নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য নাম

আগের সংবাদ

বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা চট্টগ্রাম নগরবাসীর : চসিক-চউক ব্যস্ত দোষারোপে

পরের সংবাদ

ইন্দো-বাংলা পাইপলাইন : শেখ হাসিনা ও মোদি উদ্বোধন করবেন আজ

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩ , ১:০৭ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে : ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে জ¦ালানি তেল ডিজেল আসছে আজ শনিবার বিকালে। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এ পাইপলাইনে ডিজেল সরবরাহ উদ্বোধন করবেন। ভারতের লুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে রেলহেড অয়েল ডিপোতে সরাসরি এ ডিজেল চলে আসবে। ইতোমধ্যে পাইপলাইনে তিনদফা কমিশনিং (একদফা পানি এবং দুই দফা ডিজেল সরবরাহ) করাসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. টিপু সুলতান গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মোবাইলফোনে ভোরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর ফলে অল্প সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতদিন ভারত থেকে রেল ট্যাংকারে করে এ ডিজেল আমদানি করা হতো।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিী ২০১৮ সালে ১৮ সেপ্টেস্বর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিলিগুড়ি মাকেটিং রেল টার্মিনালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছিল ৩০ মাস (জানুয়ারি/২০২০ থেকে জুন/২০২২ পর্যন্ত)। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় চলতি বছরের ২৩ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে শিলিগুড়ি রেল টার্মিনাল পর্যন্ত ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। শিলিগুড়ি রেল টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্দা সীমান্ত দিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপো পর্যন্ত ১৩১.৬৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভারতীয় অংশে ৫ কিমি এবং বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৬৭ কিমি পড়েছে। পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হলেও পার্বতীপুরে রিসিপ্ট টার্মিনালে ফুয়েল ট্যাংক নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় আপাতত রেলহেড অয়েল ডিপোর ট্যাংকার ব্যবহার করা হবে। ২৯ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ৬টি ফুয়েল ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ওয়াটার ট্যাংক, অগ্নিনির্বাপক ফোম রাখার জন্য ২ হাজার ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতার দুটি ব্লাডার ট্যাংক ও অটোমোশন সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।
বর্তমান প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে জ¦ালানি তেল আমদানি করে পার্বতীপুরে নিয়ে আসতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। এ পাইপলাইনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে জ¦ালানি তেল চলে আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে জ¦ালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমান দর বিবেচনায় ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৬ ডলার সাশ্রয় হবে। এতে একদিকে সময় লাগবে কম, অপরদিকে পরিবহন ব্যয় ও সিস্টেমলস অনেক কমে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে বিপিসির তিন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার পার্বতীপুর ডিপোতে ধারণ ক্ষমতা হবে ৪৩ হাজার ৫০০ টন। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক মিলিয়ন টন ডিজেল ভারত থেকে আমদানি করা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ আড়াই লাখ টন ডিজেল আমদানি করবে। ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ডিজেল আমদানির পরিমাণ ৪ থেকে ৫ টন করে বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়