শাহজালাল বিমানবন্দর : মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনজনের মতামত চান হাইকোর্ট

আগের সংবাদ

ফের ‘ভেরিফিকেশন’ নাটক! : মিয়ানমার থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফে

পরের সংবাদ

বিদ্যুতের উৎপাদন না বাড়ালে সংকট কাটবে না : ড. এম শামসুল আলম, জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ, ক্যাব

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ক্যাবের জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, সরকার একদিকে তাদের খেয়াল খুশিমতো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছে। এরপর যদি গ্রীষ্ম মৌসুমে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারে তা খুবই দুঃখজনক হবে। গ্রীষ্ম মৌসুমে সেচ কাজ পুরোদমে চলে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে সেচকাজ ব্যাহত হয়। আবার শিল্পেও বিদ্যুৎ দিতে হবে। তাই সরকারের পরিকল্পনা করেই বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা না হলে গত বছরের মতো আবাসিকে লোডশেডিংয়ের শঙ্কা রয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরের কাগজকে এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানোর কথা বলে প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন বাড়ানোর দিকে তাদের মনোযোগ নেই। চাহিদা অনুযায়ী মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। সেচ মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। গ্রামে কৃষকরা সেচকাজের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত গ্যাসের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত কয়লার সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিছুদিন আগে কয়লা না থাকায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ¦ালানির মজুত রাখতে হবে এবং উৎপাদন বাড়ানো গেলেই সংকট কাটবে। তা না হলে জনগনকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।
তিনি বলেন, জ¦ালানি খাতে সরকারের অব্যবস্থাপনা, ভুলনীতি, দুর্নীতি, অপচয় ও অদক্ষতার কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়েই চলেছে। এইসব বিষয়গুলো সংস্কারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। এমনিতেই মানুষ আর্থিক সংকটে আছে। তার মধ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। গ্রীষ্মকাল, সেচ মৌসুম এবং রমজান মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ লাগবে। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন না বাড়াতে পারলে এবারো লোডশেডিংয়ের শঙ্কা রয়েছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরের অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য আমরা সরকারকে বার বার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। জ¦ালানি খাতে সরকারের অদক্ষতা বার বার তুলে ধরেছি। এই মুহূর্তে যখন ভর্তুকির প্রয়োজন, তখনই মাসে মাসে সরকার নির্বাহী ক্ষমতাবলে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলছে। আমি আবারো বলব, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই যৌক্তিক না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়