জাকের সুপার মার্কেট : সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ২

আগের সংবাদ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ : সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে’ বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত আরো ২৫

পরের সংবাদ

খাস জমির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে সাবাড় : রাঙ্গাবালী

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবিতে সরকারি খাস জমির গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আক্কাস ফরাজী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজী স্থানীয় আনসার ভিডিপি কমান্ডার। বন বিভাগের বাধার মুখে গাছগুলো স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মৌডুবীর নিজকাটা এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে সরকারি খাস জমির অর্ধশতাধিক কেওড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছগুলো স্তূপ করে রাখা আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেড়িবাঁধের বাইরে সরকারি খাস জমির কেওড়া গাছ নিজের দাবি করে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজী। গাছগুলো ১৬ হাজার টাকায় নাসিম নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ক্রয় করেন। কিন্তু জমির মালিকানার প্রমাণ কিংবা গাছ কাটার অনুমতিপত্র কিছুই দেখাতে না পারায় গাছ কাটতে অস্বীকৃতি জানান নাসিম। পরবর্তীতে আক্কাস নিজেই দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে লোক নিয়ে গাছগুলো কাটিয়েছেন।
গাছ ক্রেতা নাসিম বলেন, আমি গাছ কিনেছি তা সত্য। তবে সরকারি জমির গাছ ক্রয় করিনি। খাস জমির গাছ হলে টাকা ফেরত নেব।
অভিযুক্ত আক্কাস ফরাজি খাস জমি নিজের দাবি করে বলেন, এই জমি আমার। ওয়াপদা ( বেড়িবাঁধ) পাশে থাকায় খাসজমি মনে করে তহশিলদার ও বন বিভাগের অফিসার আপত্তি দেয়ায় গাছ কাটা বন্ধ করেছি।
এ বিষয় মৌডুবী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খাস জমির গাছ হলে তা ব্যক্তিগত হয় না। বনবিভাগের আওতায় থাকলে সে গাছ কাটার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে।
এ বিষয়ে বন বিভাগের স্থানীয় বিট অফিসার শোয়েব খান বলেন, এই গাছ কাটার জন্য কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। খাস জমির গাছের মালিক সরকার। অনুমতি ছাড়া সরকারি জমির গাছ কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়