শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি এবং সতর্কতা

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে যে দুর্ঘটনাগুলো সচরাচর দেখতে পাই এবং যার কারণে প্রাণহানি থেকে শুরু করে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয় সেটি হলো অগ্নিকাণ্ড। মাত্র কয়েক দিন আগেই গুলশানের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরকম মাঝে মধ্যেই হয় বা হচ্ছে এবং তা সারাদেশেই। অতীতে দেশে বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড এবং অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির কারণ ছিল কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ। এ ছাড়াও শর্টসার্কিট থেকে, বিভিন্ন অসতর্কতায় এমনকি সিগারেটের ফেলে দেয়া টুকরো থেকেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে সতর্ক থাকার। বাস্তবে আমরা ততটা সতর্ক নই। সতর্ক থাকলে ছোট ছোট এই কারণগুলো এড়াতে সক্ষম হতাম। দেশের অনেক বহুতল ভবনে যথেষ্ট অগ্নিনিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকে না। এর কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। যখন ঘটনা ঘটে যায় তারপর বলি এবার থেকে হবে। আসলে হচ্ছে হবে করে সময় কেটে যায়। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়। আর কত প্রাণ গেলে আমরা সতর্ক হবো? স¤প্রতি গুলশানে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের দেশে মাঝেমধ্যেই যে মানুষের প্রাণহানি, আহত এবং সম্পদহানি ঘটছে সেসব প্রতিটি ঘটনার পেছনেই খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসছে ভুল। খুঁজে বের করা হয় অবহেলা। আমরা কি সেই ভুলগুলো শুধরে নিই? অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার অভ্যাস আমাদের নেই। সেই নিয়ম মেনে সেসব থাকলে এক কথা আর তা না মানলে অন্যকথা। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই বহু ধরনের দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
কয়েক বছরে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে অগণিত মানুষের স্বপ্ন। প্রাণহানি যেমন ক্ষতিকর তেমনি একজনের সম্পদ পুড়ে যখন তার তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বপ্ন ছাই হয়ে যায় তার খোঁজ কে রাখে। প্রাণহানির সংখ্যা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাই। কিন্তু স্বপ্ন ভঙ্গের খবর রাখি না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অসাবধানতাবশত যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যখন কোনো দুর্ঘটনার পেছনে কারণ খুঁজে পাওয়া যায় তা থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়। আগুনে পোড়া স্বপ্নের মৃত্যু আর দেখতে চাই না। প্রতিটি ঘটনা ঘটার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই ঘটনার কারণ বের হয়ে আসার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার সুপারিশও করা হয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। প্রথম কিছুদিন সেসব নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। তারপর একসময় সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে। এভাবে আর কতদিন চলবে? একটু সচেতন হলেই অগ্নিদুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভবপর হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। তাহলেই আগুন লাগার ঘটনা কমে আসবে এবং সেই সঙ্গে প্রাণহানি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমবে।

অলোক আচার্য : শিক্ষক ও লেখক, পাবনা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়