ফারুক মাহমুদ : মেলায় এখন প্রিয় মানুষদেরই খুঁজে পাই না

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতি-ডলার সংকটই চ্যালেঞ্জ > ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক বছর : আমদানিনির্ভর সব পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী

পরের সংবাদ

সংস্কৃত কলেজ স্থাপন নীতিমালা সহজীকরণ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কৃত ও পালি কলেজ স্থাপন নিয়মাবলির বেশ কিছু দফায় নতুন কলেজ স্থাপন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। ১নং দফায় প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রামে ৩০ শতাংশ, উপজেলা সদরে ১৫ শতাংশ, শহরে ৬ শতাংশ জমি থাকতে হয়, তবে শর্তসাপেক্ষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সংস্কৃত ও পালি কলেজ অনুমোদন দেয়া হয়। কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে নিজস্ব জমির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ৫ বছরের চুক্তিসংবলিত ভাড়া ভবনে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায়, এ ক্ষেত্রে ভাড়াকৃত অবকাঠামোর ৩০০ টাকা বা সরকার নির্ধারিত হারে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা থাকলে হয়। তর্বে শর্ত থাকে যে, সরকারি আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই নিজস্ব জমি অথবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। ৩নং দফায় প্রতিষ্ঠানের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে দুটি হিসাব থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান ডিজিটাল যুগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি যে কোনো তফসিলি ব্যাংক উল্লেখ করা প্রয়োজন। ৫নং দফায় স্থানীয় জনসাধারণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত ১১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করতে হবে। যে কোনো স্তরের কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) স্থাপনের ক্ষেত্রে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আবেদন করা যায়।
বর্তমান নীতিমালার আলোকে ১১ সদস্য নিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা দুরূহ ব্যাপার, বেশি সদস্যের মতের মিল না হলে অঙ্কুরেই অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠান স্থাপনকালীন সময় সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা প্রয়োজন। ১৩নং দফায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ জন থাকতে হবে। তার সঠিক বিবরণ বোর্ডে পাঠাতে হবে। যেখানে ডিগ্রিস্তরের যে কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে ২৫ জন শিক্ষার্থী হলেই প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যায়, সেখানে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে প্রাথমিক পর্যায় ১০০ শিক্ষার্থী সংগ্রহ করা দুরূহ ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে ১৩নং দফায় কাব্য, পুরাণ, হিন্দু স্টাডিজ, ব্যাকরণ (কলাপ, লঘু, মুগডাবোধ, সরস্বত, সুপদ্ম), প্রাচীন রাজশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, পৌরহিত্য, ধর্মশাস্ত্র, জ্যোতিষ (ফলিত, সিদ্ধান্ত), বাস্ত্রশাস্ত্র (স্থাপত্যবেদ), আর্য়ুবেদ, ঋগবেদ, শুল্ক যর্জুবেদ, কৃষ্ণ যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ, বেদ নিরুক্ত প্রক্রিয়া, গণিত, স্মৃতিশাস্ত্র (নব্য, প্রাচীন), অদ্বৈত (শঙ্কর) বেদান্ত, বিশিষ্টাদ্বৈত বেদান্ত, অচিন্ত্য দ্বৈতাদ্বৈত বেদান্ত, ভক্তিবেদান্ত, সাংখ্যযোগ, পূর্ব মীমাংসা, দ্বৈত (মাধ্য) বেদান্ত, সর্ব দর্শন, নিম্বার্ক বেদান্ত, ভক্তিশাস্ত্র, যোগ ব্যায়াম ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা, আগম, গৌড়ীয় বেদান্ত, শুদ্ধাদ্বৈত ব্রহ্মবাদ বেদান্ত, রামানন্দ বেদান্ত, শক্তি বিশিষ্টাদ্বৈত বেদান্ত, বৈদিক সংগীত, কীর্তন, চারু ও কারুকলা, বৈষ্ণব সংগীত বিভাগের যে কোনটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ জন থাকতে হবে। এছাড়া ৩ বছর মেয়াদি তীর্থ কোর্সের নাম পরিবর্তন করে শাস্ত্রী রাখার পাশাপাশি অন্যান্য বোর্ডের ন্যায় বিভিন্ন মেয়াদি শিক্ষাক্রম চালুকরণ।
পৃথক পৃথক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদনের জন্য ৩ ও ৬ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট, ১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা, ১ বছর মেয়াদি অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট, ২ বছর মেয়াদি অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা, ৩ বছর মেয়াদি শাস্ত্রী (তীর্থ), ২ বছর মেয়াদি আচার্য শিক্ষাক্রম চালুর পাশাপাশি পৃথক প্রতিষ্ঠান বা একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাক্রম চালুকরণ। উদাহরণস্বরূপ যোগ ব্যায়াম ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিষয়ে সার্টিফিকেট ও অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট শিক্ষাক্রমে ইয়োগা প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়, ডিপ্লোমা ও অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রমে ইয়োগা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শাস্ত্রী ও আচার্য শিক্ষাক্রমে ইয়োগা প্রশিক্ষণ কলেজ চালু করা যেতে পারে। আবার একই প্রতিষ্ঠানে সার্টিফিকেট, অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা, অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা, শাস্ত্রী ও আচার্য শিক্ষাক্রম চালু করা যেতে পারে।

রিপন কুমার দাস : ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর, ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়