২৫ ফেব্রুয়ারি সব জেলায় পদযাত্রা করবে বিএনপি

আগের সংবাদ

একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : ভাষার জন্য কারাবরণ করতে হয় বঙ্গবন্ধুকে

পরের সংবাদ

সরেনি একটি কেমিক্যাল কারখানাও : অন্য ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য > বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৫০৮টি কেমিক্যাল কারখানা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইমরান রহমান : নিমতলি-চূড়িহাট্টা-আরমানিটোলা ট্রাজেডিতেও থামানো যায়নি পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানার কার্যক্রম। বহাল তবিয়তে আছে দাহ্য পদার্থের গুদামগুলোও। উল্টো দিনের পর দিন বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও মৃত্যুর মিছিল। ঘুমন্ত অগ্নেয়গিরি খ্যাতি পাওয়া এসব কেমিক্যাল কারখানা ও গুদামের মধ্যে অতিঝুঁঁকিতে থাকা ১ হাজার ৯২৪টির তালিকা করে অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি কারখানাও সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ যে কেমিক্যাল পল্লীতে তাদের স্থানান্তরের কথা, সেটির কাজে তেমন গতি নেই। কেমিক্যাল পল্লীর কাজ শেষ হলেও ব্যবসায়ীরা সেখানে যাবেন তারও নিশ্চয়তা নেই। ফলে আতঙ্ক নিয়েই বছরের পর বছর ধরে বসবাস করতে হচ্ছে পুরান ঢাকাবাসীকে। পুরান ঢাকার অগ্নিঝুঁকি কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কেমিক্যাল কারখানা সরানোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
এদিকে ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলী কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকায় কেমিক্যালসংক্রান্ত নতুন ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগের যেসব কেমিক্যাল ব্যবসায়ী ছিলেন তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়নও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবুও অন্য ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কেমিক্যালের রমরমা ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার তাজমহল টাওয়ার, মাহুতটুলী, মিটফোর্ড সড়ক, শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী সড়ক, আরমানিয়ান স্ট্রিট ও চকবাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে- অনেক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে ও ফার্স্ট ফ্লোরের সামনের দিকে প্লাস্টিকের বিভিন্ন পণ্য, বাচ্চাদের খেলনা গাড়িসহ হরেক রকমের পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পেছনের দিকে রয়েছে বস্তা ও ড্রামভর্তি কেমিক্যাল। লুকিয়ে রাখা এসব কেমিক্যাল যার তার কাছে বিক্রি করেন না তারা। কেবল পরিচিত ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
ব্যবসায়ী সেজে বেশ কয়েকজন কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, যে কোনো ধরনের কেমিক্যালই দেয়া যাবে এবং চাহিদা অনুযায়ীও দেয়া যাবে। এসব গোডাউনে গিøসারিন, সোডিয়াম

অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, মিথাইল-ইথাইল কাইটন, থিনারসহ আরো অনেক ধরনের কেমিক্যাল বিক্রি হচ্ছে। জানা যায়, কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা এখন ড্রামে করে কেমিক্যাল বহন করেন না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে অন্য কোনো পণ্যের ড্রামে করে রাতের আঁধারে কেমিক্যাল বহন করা হয়। তবে দুর্বলতার সুযোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশ কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিচ্ছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, অসাধু এসব কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ট্রেড লাইন্সেস প্রদানকারী সিটি করপোরেশনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশও রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অগ্নিকাণ্ডের জন্য পুরান ঢাকার ৫০৮টি প্লাস্টিক কারখানা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের আওতায় ৩৭টি, লালবাগ ফায়ার স্টেশনের আওতায় ৮৭টি, সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের আওতায় সবচেয়ে বেশি ৩৬৯টি, পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের আওতায় ৫টি, খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের আওতায় ২২টি, টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের আওতায় ৪টি, তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের আওতায় একটি, সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের আওতায় দুটি কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম রয়েছে। এই কারখানাগুলো স্থাপনে নেয়া হয়নি ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার এগুলো বন্ধ করার নোটিস দিলেও আমলে নিচ্ছেন না মালিকরা।
এদিকে ২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর সিটি করপোরেশন, শিল্প মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই কমিটি পুরান ঢাকায় অতি ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এমন এক হাজার ৯২৪ জন কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর তালিকা করে। এই তালিকা মন্ত্রিসভায়ও জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানান্তরের উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। যদিও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, পুরান ঢাকায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে। এসবের মধ্যে ১৫ হাজার আছে খোদ বাসাবাড়িতে। মাত্র আড়াই হাজার গোডাউনকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। বাকি ২২ হাজারের মতো গোডাউন অবৈধ। এসব গোডাউনে ২০০ ধরনের ক্ষতিকর ও ঝুঁঁকিপূর্ণ রাসায়নিকের ব্যবসা চলছে।
আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, দুই দশকে বাংলাদেশে শিল্পকারখানায় ২৬টির বেশি দুর্ঘটনায় দুই হাজারের মতো শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর গত ১১ বছরে শুধু পুরান ঢাকায় পৃথক ঘটনায় অন্তত দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। হতাহতের দিক থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে মাত্র ৩টি ঘটনার পর মামলা হয়েছে। এসব দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দোষীদের চিহ্নিত করা গেলেও তারা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনের ৯৮ ভাগই অবৈধ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাসায়নিকের এক একটি ড্রাম এক হাজার বোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী, যা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে পুরান ঢাকার অধিকাংশ জায়গাই পুড়ে যেতে পারে। কারণ, এসব গুদামের কোনোটাতেই অগ্নিনির্বাপণের তেমন ব্যবস্থা নেই। আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের কারখানা চালানো, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গুদাম করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, থানা, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ কমপক্ষে ছোট বড় অন্তত নয়টি সরকারি দপ্তরের অনুমোদন নিতেই হয় কেমিক্যাল ব্যবসায়। সরকারের নিয়মনীতি মেনে আবাসিক এলাকায় এ ধরনের ব্যবসা করার কোনো সুযোগই নেই। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পুরান ঢাকায় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিপজ্জনক এ ব্যবসা।
যেখানে ১৩ বছর ধরে কেমিক্যাল ব্যবসার অনুমোদনই দিচ্ছে না সিটি করপোরেশন, সেখানে কীভাবে এত বছর ধরে কেমিক্যাল ব্যবসা চলছে, গোডাউন গড়ে উঠছে? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। উল্টো একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মোহা. নায়েব আলীও দুষলেন শিল্প মন্ত্রণালয়কে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় দেখবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটিও হয়েছে। সেই কমিটিতে তাদের একজন প্রতিনিধি রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। আবার শিল্প মন্ত্রণালয় দুষছে সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক পরিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থাকে।
সূত্র জানায়, কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের জন্য শ্যামপুর ও গাজীপুরে দুটি কেমিক্যাল পল্লী করা হচ্ছে। কেমিক্যাল পল্লীর কাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু এই দুটি কেমিক্যাল পল্লীতে ৫৪ জন করে মাত্র ১০৮ জন ব্যবসায়ীকে জায়গা দেয়ার সুযোগ হবে। অথচ পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ব্যবসায়ী রয়েছে কয়েক হাজার। আর ১০৮ জনের স্থান হলেও তাও যেতে রাজি হচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ৫০ বছর ধরে তিলে তিলে এই ব্যবসা গড়ে তুলেছেন তারা। এখান থেকে অন্যত্র গেলে কেমিক্যাল ব্যবসাই হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তাদের। তাই তারা যেতে চাচ্ছেন না।
জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিসিক) মোস্তাক আহমেদ বলেন, দুটি কেমিক্যাল পল্লীর কাজ এখনো শেষই হয়নি। কাজ প্রকল্প পর্যায়ে রয়েছে। ওইরকম পর্যায়ে এখনো কাজ হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের সেখানে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামপুর ও গাজীপুরে কেমিক্যাল পল্লী হয়ে গেলে সেখানে যেসব ব্যবসায়ী যেতে চান, প্রথমে তাদের নেয়া হবে। তবে এই দুটি কেমিক্যাল পল্লীতে তাদের ক্ষণস্থায়ীভাবে রাখা হবে। সিরাজদিখানে ৩০০ একর জমিতে বৃহৎ আকারে আরেকটি কেমিক্যাল পল্লী হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে শ্যামপুর ও গাজীপুর থেকে ব্যবসায়ীদের এখানে নিয়ে আসা হবে। নতুন এই কেমিক্যাল পল্লীতে ব্যবসায়ীদের জায়গা হয়েও থেকে যাবে। এটির কাজ মাটি ভরাটের পর্যায়ে রয়েছে। আরো সময় লাগবে।
পুরান ঢাকার অবৈধ কেমিক্যাল কারখানার বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক কারখানা এবং গুদামগুলো পুরান ঢাকাকে ঝুঁঁকিতে রেখেছে, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো কেন সরানো হচ্ছে না? উত্তরে তিনি বলেন, কেমিক্যাল কারখানা সরানো ফায়ার সার্ভিসের কাজ নয়। ফায়ার সার্ভিসের কাজ আগুন নেভানো। আমরা সেই কাজটিতেই জোর দিচ্ছি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যাতে বড় আকার ধারণ না করে, সে ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। তবে কেমিক্যাল গুদামগুলো দ্রুত সরানোর পদক্ষেপ নিলে ভালো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার ডিজি আরো বলেন, পুরান ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণে বড় গাড়িগুলো তেমন কাজে আসে না। আমরা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু ছোট গাড়ি পেয়েছি। মন্ত্রণালয় আমাদের চাহিদামতো আরো গাড়ি দিতে চেয়েছে।
তবে বিভিন্ন সময়ে পুরান ঢাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছেন, পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনের নিচতলায় কেমিক্যালের গোডাউন, ওপরে বসবাস। এমন আগুনে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী একটি বহুতল ভবনে যা যা থাকার কথা, ভবনগুলোতে এর কিছুই নেই। ভবনের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ভবন মালিকের হলেও তিনি তা করছেন না। আবার ঝুঁঁকি জেনেও অনেক নাগরিক পরিবার নিয়ে এসব ভবনে বসবাস করছেন।
এছাড়া পুরান ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ রকম একটি জায়গায় কেমিক্যালের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ায় পুরান ঢাকার বাসিন্দারা শতভাগ ঝুঁঁকিতে রয়েছে। এই এলাকায় ভবিষ্যতে নিমতলী ট্র্যাজেডির মতো একই পরিমাণ কিংবা এর চেয়েও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। পুুরান ঢাকাবাসীকে অগ্নিঝুঁঁকি থেকে মুক্ত করতে হলে আবাসিক এলাকায় ও ভবনের ভেতরে কেমিক্যাল গোডাউন না রাখা, অল্প ভূমিকম্পে ভেঙে পড়তে পারে এমন ভবন এখনই ভেঙে ফেলা, যতটা সম্ভব রাস্তা প্রশস্ত করা, ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করার পরামর্শ ফায়ার সার্ভিসের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়