জাতীয় প্রেস ক্লাবের কর্মশালা : শিশুদের আবৃত্তি শিক্ষায় মাতৃভাষাকে ভালোবাসার আহ্বান

আগের সংবাদ

সরেনি একটি কেমিক্যাল কারখানাও : অন্য ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা বাণিজ্য > বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৫০৮টি কেমিক্যাল কারখানা

পরের সংবাদ

ভাষা আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিত : একটি অগ্রগতির সফর

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কী দাদা, এবারে ঢাকা যাচ্ছেন না? ভরসকালে পাড়ার চায়ের দোকানে একজন প্রতিবেশীর জিজ্ঞাসা। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পাড়ার লোক জানেন, আমাকে ভাষার মাসে একবার ঢাকা যেতে হয়। অনেকটা হিন্দু পিতৃহারাদের বার্ষিক তর্পণের মতো। আমার একটা প্রচ্ছন্ন গর্ব মাঝেমধ্যে বেরিয়ে আসে, আমি ভাষা আন্দোলন দেখিনি ঠিকই, কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। তবে এখনকার মতো টিভি বা মোবাইল পর্দায় নয়। সরাসরি, চাক্ষুস। তখনও এপারের বাঙালরা বিয়ের কার্ডে লিখতেন ‘চট্টগ্রাম বা পাবনা নিবাসী বর্তমানে ৪৩ নম্বর দমদম রোডে স্থিত’। মানে ওরিজিনালি তারা তখনও মানসিকভাবে ওপারের, তাদের অস্থায়ী আবাস কলকাতায়। যেন কিছুদিন বাদে তারা ফিরে যাবেন চট্টগ্রাম বা পাবনায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধ বাধল ওপার বাংলায়। কলকাতায় তখনও টিভি আসেনি। শুধু রেডিওরাজ। খবরের কাগজ। পাড়ার রকে আলোচনা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কাঁপাকাঁপা সম্প্রচার শুনছে কলকাতা। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/ মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি। গোবিন্দ হালদারের লেখা, গাইছেন আপেল মাহমুদ। শেখ মুজিবকে কলকাতা তখনও বঙ্গবন্ধু বলে উল্লেখ করত না। স্রেফ মুজিব। আমাদের ঘরের ছেলে মুজিব। আমাদের বাঘের বাচ্চা মুজিব। ৭ মার্চের ভাষণের মুজিবকণ্ঠ কলকাতায় এসে গেছে। ভারতীয় রেকর্ড লেবেল এইচএমভি রেকর্ডস বাজারে ছেড়ে দিয়েছে তাদের রেকর্ড। কোনো অনুষ্ঠানে গানের চেয়েও বেশি চলছে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ।
ইতিহাসের আলো আমাদের আলগোছে সরে থাকার প্রবণতা চূর্ণ করে দেয়। অ্যালেন গিনসবার্গের কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ মুক্তিযুদ্ধের দূরবর্তী নস্টালজিয়া ছাড়িয়ে তার ক্লেশ-যাতনা-ক্রোধ-নিষ্ফলতার আত্মা বের করে দেয়। ঘোর ভাঙে। ঘুরে দেখি, প্রতিটি পরিবার ইতিহাসঋদ্ধ, সবাক। সাতচল্লিশ থেকে একাত্তরে বদলে গেছে যশোর রোড ধরে ও পার থেকে এ পারে চলন। এবার শুধু দেশ কোথায় বললে, পাবনা কি চট্টগ্রাম বলে কুলোচ্ছে না, বরং একাত্তরের অসামান্য গৃহচ্যুতি ও চূড়ান্ত ক্লেশ-অবমাননায় স্পষ্ট ও উড্ডীন থেকেছে একটি ভবিষ্যৎ জয় বাংলা উচ্চারণে। ১ কোটি মানুষের এ কারণে বাস্তুচ্যুতি ও প্রায় ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের বিদ্ধ যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে ছাপিয়ে থাকে বাংলা ভাষায় কথা বলে এমন একটি রাষ্ট্রকল্পনা, যা শুধু রাষ্ট্রই নয়, একটি বিশুদ্ধ আবেগ। একাত্তরে পাকিস্তান বাহিনীর পরাজয়ের কারণ খুঁজতে জুলফিকার আলি ভুট্টোর নির্দেশে গঠিত হয় হামুদুর রহমান কমিশন। তার রিপোর্টে ধরা পড়ে গণহত্যার বিপুল ছবি, আর্মির নৈতিক অধঃপতনের, ক্ষমতালিপ্সার ভয়াবহ উদাহরণ, রিপোর্ট প্রকাশ হয় না ফলত। পরে তার সম্পূরক অংশটি প্রকাশ পেলে দেখা যায়, যতই সরকার ঘেঁষা হোক প্রতিবেদন, যাতে মুক্তিযুদ্ধকে এককথায় নৃশংস বলে প্রমাণের চেষ্টা চলুক, পুরো ১৯৭১ জুড়ে অত্যাচার, গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের যে অধ্যায় চলে একটি জাতির স্বাধীনতাকামী প্রচেষ্টাকে থেঁতলে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের এমন নজির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিরল। মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে উপমহাদেশের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা দুটিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬-এর নির্বাচনে পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম লিগকে ভোট না দিলে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না, এই সত্যটা জানত এপার বাংলা। কাজেই একটা রাগ-অভিমান এপারের বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের কাজ করত ওপারের মুসলমানদের ওপর। কিন্তু ওপারের মুসলমানদের এত বড় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তা এপার সেভাবে জানত না। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের সপ্তাহখানেকের মধ্যে ডাক বিভাগের খাম, পোস্টকার্ড ও অন্যান্য সরকারি ফর্মে ইংরেজির সঙ্গে শুধু উর্দু লেখা থাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার প্রতিবাদে খুব ছোট আকারে আন্দোলনের সূচনা করেন ঢাকার প্রাদেশিক সেক্রেটারিয়েটের চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির বাঙালি কর্মচারীরা। অবিলম্বে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও যুবসমাজ। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহম্মদ আলি জিন্নাহ ঘোষণা দেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা অন্য কোনো ভাষা নয়। ব্যাপারটা ভারতীয়রা ভালো করে বুঝে উঠতে পারেনি। পাকিস্তানে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ উর্দুতে কথা বলেন। মাত্র ৮ শতাংশ। উর্দু তো ভারতীয় ভাষা। উর্দুচর্চা ভারতেই বেশি। পাকিস্তানে হওয়া উচিত পাঞ্জাবি বা হিন্দি। জিন্নাহ নিজেই তো উর্দু জানেন না। কাজেই কী করে বুঝবে ভারতীয় বাঙালিরা পাকিস্তানের উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করার কারণ কী।
পাকিস্তানের তখনকার ৫৬ শতাংশ মানুষ বাঙালি ও বাঙলাভাষী। শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্ত পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন থেকে। অনেক আগে একবার ধর্মীয় নেতাদের ফতোয়ার কারণে ইংরেজি না শিখে তারা বাঙালি হিন্দু মধ্যবিত্ত থেকে পৌনে এক শতাব্দী পিছিয়ে পড়ে। এবার পাকিস্তানের সরকারি ভাষা উর্দু হলে তারা আবার উর্দুভাষীদের থেকে পিছিয়ে পড়বে এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটি চুরমার হয়ে যাবে- এমন শঙ্কা দেখা দেয় মধ্যবিত্তের মধ্যে। বাঙালি মুসলমান শিক্ষায় পিছিয়ে পড়লে সরকারি চাকরি-বাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়বে। তখন সরকারি ভাষা অবশ্য ব্রিটিশ আমলের মতো ইংরেজিই ছিল। বাহান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তের বিনিময়ে ১৯৫৬-র সংবিধানে বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পেলেও অবাঙালি শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহতই রাখে। দাবি তোলা হয়েছিল, ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে আরবি বা উর্দু, বাংলা নয়। বলা হয়েছিল, আরবিকে রাষ্ট্রভাষা করা হলে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের জনগণের সংহতি দৃঢ় হবে। শিক্ষিত সমাজের তীব্র প্রতিবাদের মুখে আরবির প্রস্তাব বেশি দূর এগোয়নি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্কৃত প্রভাবমুক্ত মুসলমানি ভাবাশ্রিত বাংলা ভাষা প্রবর্তনের চেষ্টা হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এসব অপচেষ্টায় এক শ্রেণির বাঙালি কবি, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ জড়িত ছিলেন। তাদের শুধু সমর্থন নয়, সহযোগিতাও ছিল। ১৯৪৯ সালের মার্চে গঠন করা হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ কমিটি বা পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি। ওই কমিটির বিবেচনার বিষয় ছিল : ১. পূর্ব বাংলার মানুষের ভাষার (ব্যাকরণ, বানান, ইত্যাদি সমেত বাংলা ভাষার) সরলীকরণ, সংস্কার ও প্রমিতকরণের প্রশ্ন বিবেচনা করা এবং সে সম্পর্কে সুপারিশ করা। ২. বাংলা ভাষাকে নির্দিষ্টভাবে পূর্ব বাংলা এবং সাধারণভাবে পাকিস্তানের মানুষের প্রতিভা ও কৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচনা করতে পারেন এমন অন্যান্য সুপারিশ কমিটি করতে পারবে।’ ভাষা সংস্কার কমিটি বাংলা ‘বর্ণমালা থেকে শুরু করে ব্যাকরণ পর্যন্ত আদ্যন্ত সংস্কার’-এর জন্য অভিমত দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি।
এপারের বাঙালিরা এতকিছু জানতেন না। মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে যা খুশি হোক তাতে এপারের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু সবই উলটে গেল একাত্তরে। মানুষ জানল ভাষা আন্দোলন ও সেই আন্দোলন থেকে জন্ম নেয়া যুদ্ধ। তারপর ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে বাংলাদেশের দরজা বন্ধ হয়ে গেল দীর্ঘদিনের জন্য। শুধু খোলা বাংলাদেশের টিভি। মাছের কাঁটার মতো একটা এক্সট্রা অ্যান্টেনা লাগিয়ে বাংলাদেশি চ্যানেল চলত কলকাতায়। ওপারের টেলিনাটক ও মিউজিক ভিডিও বেশ জনপ্রিয় এপারে। ’৪৭ থেকে সেই দিন তক যারা ওপার থেকে আমাদের পাড়ায় এসে পড়েছে, কখনো ফিরে দেখে আসব ভাবে ভিটের আমগাছখানি, কারও ঘরবাড়ি অধিকৃত হয়ে বানানো হয়েছে পোর্ট, সান্ধ্যকালীন বাংলাদেশ টিভি চ্যানেলে একযোগে সব্বার মোক্ষপ্রাপ্তি হতে থাকে। তবে তাও বেশিদিন চলল না। এসে পড়ল কেবল টিভি। পৃথিবীটা ক্রমেই ছোট হতে থাকে, স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে, ড্রয়িংরুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দি হলো। ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সঙ্গে, যোগাযোগ হলো হাতের মুঠোতে। তখন কে খোঁজ রাখে বাংলাদেশের। দরজাটা খুলল ২০১১-তে বর্তমান সরকার আসার পরে। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে খুন, ধর্ষণ, গণহত্যা ইত্যাদি মানবাধিকারী উল্লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, আইনপ্রণেতা থেকে সাধারণ মানুষ গর্জে উঠেছে। চলছে শাহবাগ আন্দোলন। না পাকিস্তানি সেনা, না তাদের সঙ্গে হাত মেলানো দেশি দালাল ‘রাজাকার’, কারও ক্রিয়াকলাপই কাঠগড়ায় ওঠেনি তখনও পর্যন্ত। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আইনের পথে চিন্তাভাবনা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বিচারের দাবি সরব হতে হতে এসে গিয়েছিল ১৯৯০। জাহানারা ইমাম গড়ে তুলেছিলেন ‘জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অঙ্গীকার, দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ হয়ে’। রাজাকারদের তালিকা নির্মাণ ও বিচারের আওতায় আনা আসলে ন্যায় ও সত্যের কথা বলা, এই ছিল এদের অভিপ্রায়। সরকারি তরফে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হলো। সবচেয়ে বড় কথা পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই ঘটেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিজস্ব বিচারব্যবস্থায়। যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে কোনো আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়নি।
বাংলাদেশ মুক্তি আন্দোলন একালের সবচেয়ে অ-নথিভুক্ত আন্দোলন। ১৯৯৯ পর্যন্ত বধ্যভূমি খুঁজে পায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মিরপুরে মুসলিমবাজারে। তারই সংগ্রহ, হাড়, খুলি, জামা-জুতার টুকরো, চুড়ি, দাঁত, চুলের বেণী, বাচ্চাদের জুতা, সেনাদের জুতা, তার পর মুক্তিবাহিনীর ছেঁড়া ন্যাকড়ার জুতা দেখতে গিয়ে কেঁপে ওঠে মানুষের সত্তা। যখন শাসক তার শাসনের চিহ্ন লোপাট করে দেয়, স্মৃতিভ্রংশ করে দেয়, তথ্য হারিয়ে দেয় মাটির গভীরে শব পুঁতে, তখন একটা জাতি আর কী করে শোধ করে আত্মোৎসর্গের ঋণ? তাই যে কোনো বাঙালির ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বাংলাদেশের উন্নয়ন থেকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রগতির ছন্দ, সবকিছুকে একটি জার্নি বা সফর হিসেবে দেখতে হবে। যা চলছে ও চলবে। খণ্ডচিত্র কখনো সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে পারেনি। কাজেই খণ্ডবিচ্যুতি থাকবেই। কিন্তু তাকে বড় করে দেখে সামগ্রিক সফরের গতি যাতে রুদ্ধ না হয় তার দায়িত্ব প্রত্যেক বাঙালির এবং সে সত্য মনে রাখা তাদের প্রয়োজন।

অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়